যশোর অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু

corona virus test kit

অবশেষে বিনামূল্যে দেশের সাথে একযোগে যশোরে শুরু হলো র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে অ্যান্টিজেন টেস্টের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে দেশের দশ জেলায় এই টেস্ট শুরু হলো।
স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে দেশের দশটি জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জুম অ্যাপের মাধ্যমে দশ জেলার সিভিল সার্জন, হাসপাতালগুলোর পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ অন্যরা যোগ দেন।
স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, প্রাথমিকভাবে যেসব জেলায় আর-টি পিসিআর টেস্টের সুযোগ নেই, সেসব জেলাতেই অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা হলো। সে চিন্তা থেকেই প্রান্তিক জেলাগুলোতে শুরু করতে চেয়েছিলাম প্রথম থেকে।

তিনি আরো বলেন, অ্যান্টিজেন টেস্ট অনেক কাঙ্ক্ষিত ছিল, অবশেষে সেটা চালু হলো। ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ করা হবে । তিনি দশ জেলার সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেন, এ কার্যক্রম নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পরীক্ষা সঠিকভাবে করতে হবে। অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এ পরীক্ষা করতে হবে যেন কোনো ভুল হওয়ার আশঙ্কা না থাকে।
বড় হাসপাতাল ও কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালও অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
কার্যক্রম উদ্বোধনের পর যশোর জেনারেল হাসপাতালে ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে প্রথম তিনটি পরীক্ষা করা হয়। তিনটি পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে বলেও সেখান থেকে জানানো হয়।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপকুমার রায় বলেন, যশোর থেকে একজন চিকিৎসক, একজন টেকনিশিয়ান ও একজন আইটি স্পেশালিস্ট ঢাকা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। প্রশিক্ষণ শেষে যশোরে ফিরে আজ তারা তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করে তার পরীক্ষা করেন। তিনি জানান, প্রশিক্ষণ শেষে তারা যশোরে আসার সময় এক হাজার কিট নিয়ে এসেছেন। পর্যায়ক্রমে এগুলো আরো আসবে বলে তিনি জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই টেস্টটি সকলের জন্যে নয়। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকরা যাকে প্রেসক্রাইব করবেন, শুধুমাত্র তাদেরই পরীক্ষা করা হবে।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করোনা রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসায় নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। দেশের দশ জেলার মধ্যে যশোরেও এই টেস্ট ব্যবস্থা থাকায় এই অঞ্চলের মানুষের জন্যে বেশ সুবিধা হবে।

তিনি বলেন, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনা শনাক্ত সম্ভব। এর ফলে তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা বা আইসোলেশনে রাখা সম্ভব হবে। এর ফলে ওই রোগীর মাধ্যমে রোগ ছড়ানো হ্রাস করা যাবে।