বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ৫ মাসে রাজস্ব ঘাটতি হাজার কোটি টাকা

যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউসে চলতি অর্থ বছরের গত পাঁচ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এখানে ঘাটতি রয়েছে ৯৯৯ কোটি ৯ লাখ টাকা। এসময় শুল্কফাঁকির অভিযোগে আটটি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল ও তিনজন কাস্টমস কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বছর শেষে আরো বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এর আগে গত অর্থ বছরে বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাতিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট গুলো হচ্ছে, মেসাস রিমু এন্টার প্রাইজ, তালুকদার এন্টার প্রাইজ, এশিয়া এন্টার প্রাইজ, মাহিবি এন্টার প্রাইজ, সানি এন্টার ন্যাশনাল, মদিনা এন্টার প্রাইজ, মুক্তি এন্টার প্রাইজ ও রিয়াংকা এন্টার প্রাইজ। রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে বহিষ্কৃত কাস্টমস কর্মকর্তারা হলেন, রাজস্ব কর্মকর্তা নাশেদুল ইসলাম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আশাদুল্লাহ ও ইবনে নোমান।

জানা গেছে, গেল কয়েক বছর ধরে বেনাপোল বন্দরে ব্যাপক হারে মিথ্যা ঘোষনায় শুল্কফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কোন ভাবে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হচ্ছেনা। কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কৌশলে দিচ্ছেন এ শুল্ক ফাঁকি।

গত মাসেই শুল্কফাঁকির অভিযোগে কাস্টমস কর্মকর্তারা আটটি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল ও চারজন সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। এছাড়া কাস্টমসের তিন রাজস্ব কর্মকর্তাকেও শুল্কফাঁকিতে সহযোগীতার অভিযোগে শাস্তিমুলক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে হাতে গোনা কয়েকজন ধরা পড়লেও অধিকাংশ দর্নীতিবাজরা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। ফলে কোন ভাবে রোধ হচ্ছেনা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি।