শার্শা আওয়ামী লীগের ১৫৩ প্রবীণ নেতাকে সম্মাননা

শার্শা উপজেলার অবহেলিত-ত্যাগী ৭০ এর উর্ধে বয়স এমন ১৫৩ নেতাকর্মীকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে শতবর্ষী নেতাও আছেন। যাদের লড়াই-সংগ্রামে এদেশ স্বাধীন হয়েছে এবং ৭৫ পরবর্তীতে অত্যাচার-নির্যাতন উপেক্ষা করেও আওয়ামী লীগের রাজনীতি বাংলার মাটিতে টিকিয়ে রেখেছিলেন সেই নেতাকর্মীদের সম্মাননা জানাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বিশেষ কৃতজ্ঞতা সমাবেশ করেন।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে বেনাপোল কেন্দীয় শহীদ মিনার ও বলফিল্ড মাঠে এ ব্যতিক্রর্মী এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও উলাশী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্র নেতা তুহিন ইসলাম ফারাজি।

কৃতজ্ঞতা সমাবেশে আশরাফুল আলম লিটন বলেন, গত শতাব্দীর প্রবীণ ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা যারা বয়সের ভারে ন্যুব্জ, যাদের লড়াই আর সংগ্রামে আমরা পেয়েছিলাম একটি ভুখণ্ড, তারা আজ সমস্ত আলো আর আলোচনার বাইরে। যারা এক সময় ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রাণ, সততার সাথে সাংগঠনিক নেতৃত্ব, গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, আজ তারা অভিমানে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। এই প্রবীণ নেতারা নির্যাতিত নিপিড়ীত মানুষের জন্য লড়াই করেছিলেন। তাদের অবদানের জন্যই আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। দলের নেতাকর্মীর সুসময় যাচ্ছে। অথচ আমরা তাদের ভুলে গেছি। দেরিতে হলেও যারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাতে আজ সমাবেশ।

সম্মান পাওয়া প্রবীণ রাজনীতিক মোস্তফা আহসান ফিরোজ অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, এখনো এরকম শ্রদ্ধা জানানো নেতা আওয়ামী লীগে আছে তা ভাবতেই আমার চোখে জল আসছে। আমরা আজ গর্বিত। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে যেভাবে সম্মানিত হলাম তা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভুলব না। আমরা এই জনপদে বেনাপোল মেয়রকে আগামী দিন এমপি হিসাবে দেখতে চাই।

শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন বলেন, আজ শার্শায় আমরা ভালো নেই। কারণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের হাতে নেই। আমরা পৌড় খাওয়া নেতাকর্মীরা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে বেঁচে আছি।

কৃতজ্ঞতা সমাবেশে শার্শার ১১টি ইউনিয়নের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা বন্দর নগরী বেনাপোলের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে মিছিল নিয়ে বেনাপোল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বলফিল্ড মাঠে সমবেত হন। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল।

প্রবীণ রাজনিতীবিদদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন মেয়র লিটন। একই সাথে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরে নিজ হাতে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে অভিনন্দন জানান।