ইশরাক হোসেনের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় বিক্ষোভ করেছে গোপীবাগ ও ঢাকা-৬ আসনের সর্বস্তরের জনগণ।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকা থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর সেখান থেকে মিছিলটি ব্রাদার্স ক্লাব এলাকা হয়ে ইত্তেফাক মোড়, অভয় দাস লেন, সেন্ট্রাল ইউমেন্স কলেজের সামনে দিয়ে আর কে মিশন রোড হয়ে আবার গোপীবাগ বাসভনের সামনে এসে শেষ হয়।

পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে এসে যোগ দেয় ইশরাক হোসেন। বিক্ষোভে অংশ নেন-ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদ আরিফ, দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মোহন, ওয়ারী থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হাজী লিয়াকত আলী, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার ও ওয়ারী থানা বিএনপির সহসভাপতি মোজাম্মেল হক মুক্ত, গ্যান্ডারিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আব্দুল কাদির, বংশাল থানা বিএনপির সভাপতি তাইজুদ্দীন তাইজু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি পাভেল শিকদার, সুত্রাপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার ও কোতওয়ালী থানা বিএনপির সাংগঠিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক মহিলা কমিশনার মনি বেগম, ঢাকা মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শরীফ হোসেন, গ্যান্ডারিয়া থানা যুবদলের সভাপতি ওমর নবী বাবুসহ ঢাকা দক্ষিণ বিএনপি ও ঢাকা ৬ আসনের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনগণ।

বিজয় দিবসের ভোর রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার বাসভবনে হামলা দুবৃত্তরা। খোকার বড় ছেলে ইশরাক। তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনে অংশ নেন।

ভোর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় বাসায় তেমন কোনো লোকজন না থাকায় হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বাসভবনের জানালার গ্লাস ভাংচুর করা হয়। বাসার সামনের পোস্টার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়।

ইশরাক অভিযোগ করেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বাসায় হামলা করা হয়। তারা হেলমেট পড়ে প্রায় ১ থেকে দেড়’শ মোটর সাইকেলের নিয়ে আকস্মিকভাবে হামলা চালায়। তিনি সহ পরিবারের কেউ তখন বাসায় ছিলেন না জানিয়ে ইশরাক বলেন, সে সময় তারা গুলশানের বাসায় ছিলেন।