বাজারে আসছে উড়ন্ত গাড়ি

ভবিষ্যতে বিজ্ঞান মানুষের জীবন কিভাবে বদলে দিতে পারে, তা নিয়ে অনেক চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। যেমন আকাশে উড়তে পারে, কল্পনার এমন অনেক যানবাহন এখনো রুপালি পর্দায় দেখা যায় কল্পলোকের বস্তু হিসেবে। কিন্তু এরই মধ্যে উড়ন্ত ট্যাক্সি বাস্তবতা হিসেবেও রূপ নিয়েছে।

ব্যাটারি প্রযুক্তি, কম্পিউটার এবং বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে এতটাই অগ্রগতি হয়েছে যে উদ্ভাবকরা এখন ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের উড়ন্ত গাড়ি তৈরি করছেন। সেই সঙ্গে এসব গাড়ি আকাশে কোন পথ ধরে চলবে, তার নির্দেশনা পদ্ধতিও তাঁরা উদ্ভাবন করেছেন।

সিনেমায় দেখা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির উড়ন্ত যানের মতো না হলেও তার কাছাকাছি কিছু তো বটেই। বাণিজ্যিক বিমানের চেয়ে আকারে অনেক ছোট। বেশির ভাগ নকশাই করা হয়েছে ডানার বদলে হেলিকপ্টারের মতো ঘূর্ণায়মান পাখা বা রোটার দিয়ে, যাতে গাড়িগুলো খাড়াভাবে আকাশে উঠতে বা নামতে পারে।

সবচেয়ে বড় কথা হলো এই উড়ন্ত গাড়িগুলোর নকশা তৈরি করা হয়েছে এমনভাবে, যাতে তারা দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে, বিশেষ করে যানজটের শহরগুলোতে মানুষ যাতে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। তবে এই মুহূর্তে আকাশযানের বাজার কতটা আশাব্যঞ্জক, তা বলা মুশকিল। যদিও বেশ কয়েকটি নতুন প্রতিষ্ঠান পাল্লা দিয়ে বাণিজ্যিক আকাশযান, উড়ন্ত মোটরবাইক এবং ব্যক্তিগত উড়ন্ত ট্যাক্সি তৈরির কাজে নেমে পড়েছে। উদ্যোক্তাদের অর্থ সহায়তা দানকারী কিছু প্রতিষ্ঠান, পাশাপাশি গাড়ি ও বিমান সংস্থাগুলো এই সম্ভাবনাময় শিল্পে লগ্নি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের ধারণা ২০৪০ সাল নাগাদ এটা দেড় ট্রিলিয়ন ডলারের শিল্প হয়ে উঠতে পারে। এমনকি উবারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছে যে উড়ন্ত ট্যাক্সি সেবায় তাদের ভূমিকা কী হবে।

জার্মান কম্পানি ভলোকপ্টার তাদের ভলোসিটি মডেলের বিদ্যুত্শক্তি চালিত উড়ন্ত ট্যাক্সিকে প্রথম বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দিয়েছে। সংস্থাটির পরিকল্পনা অনুযায়ী এই যান ভবিষ্যতে পাইলট ছাড়াই উড়তে পারবে। শুরুর দিকে ভলোসিটির পাইলটচালিত উড়ন্ত ট্যাক্সিতে বসতে পারবেন মাত্র একজন যাত্রী। ফলে এই রাইডের জন্য ভাড়া একটু বেশিই পড়বে। সূত্র : বিবিসি।