মুজিববর্ষকে চিরঅম্লান করতে শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণের দাবি

মুজিববর্ষকে অবিস্মরণীয় ও চিরঅম্লান করে রাখতে শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির যশোর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি পেশ করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাম্মী ইসলাম।

স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ চরম বেতন বৈষম্যের শিকার। এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা দীর্ঘদিনেও পরিবর্তন হয়নি। ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস দীর্ঘ ১৬ বছরেও পরিবর্তন হয়নি। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি প্রথা চালু নেই। উচ্চতর গ্রেড দিতেও শিক্ষকদের চরম হয়রানি করা হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ হতো। ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ইতহাসে প্রথম ৩৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ ঘোষণা দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শিক্ষাদর্শন ছিলো অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা তথা শিক্ষাব্যবস্থা জাতীকরণ। মুজিববর্ষকে অবিস্মরণীয় ও চিরঅম্লান করে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা তথা শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। তাই অবিলম্বে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ ঘোষণা করে জাতির পিতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানান।

স্মারকলিপি প্রদানের আগে নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহসীন আলী, যশোর জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান, ঝিকরগাছা উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মজিদ, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি এহসানুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।