বেনাপোলে স্বর্ণ পাচার এর সাথে পিতা-পুত্র জড়িত

রাজমিস্ত্রি ও মাছের ঘেরের চাকরির ফাঁকে আছলাম হোসেন ও ইমাদুল পিতা-পুত্র দুজন স্বর্ণ পাচারের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই স্বর্ণ পাচার করে আলীশান বাড়ি তৈরীর কাজে হাত দিয়েছে পিতা-পুত্র। সাথে একটি গরুর খামারও তৈরী করেছে। আর এরই মধ্যে বিধি বাম হয়ে ধরা খেয়েছে ২০পিস স্বর্ণ সহ ছেলে ইমাদুল। স্বর্নের ওজন প্রায় আড়াই কেজি।

বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের আছলাম হোসেন এর ছেলে ইমাদুল হোসেন গত ২১ ডিসেম্বর ২০ পিস স্বর্ণ সহ যশোর বিজিবির কাছে আটক হয়। যার ওজন ২ কেজি ৩৩৪ গ্রাম (২০০ ভরি ১০৩ তোলা)। আনুমানিক বাজার মুল্য ১ কোটি ৬৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আলী আজগর নামে জনৈক এক ব্যক্তি বলেন, আছলাম ও তার পুত্র ইমাদুল হোসেন বেশকিছুদিন যাবত অবৈধ কোন পেশার সাথে জড়িত হয়েছে। হঠাৎ দেখছি তাদের কুড়ে ঘর থেকে আলীশান বাড়ির কাজ শুরু হয়েছে। পিতা-পুত্রর এ কাজে সহযোগিতা করে তার মা ফরিদা বেগম।

নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, ইমাদুল যশোর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে স্বর্ণ এনে পিতার কাছে দেয়। আর পিতা আছলাম মাছের ঘেরে চাকরির সুবাদে স্বর্ণ নিয়ে বাহাদুরপুর, শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন হাত বদল করে ভারতে পাচার করে। গ্রামের লোক মুখে গুঞ্জন শুরু হয়েছে চোরের ১০ দিন গৃহস্থের ১ দিন। ঠিক সেই কাজটি হয়েছে এই পরিবারটির।

সরেজমিনে আছলাম হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি একটি বাড়ি হাকিয়েছেন। যা রাজমিস্ত্রির কাজ ও ঘেরের পাহারাদার এর চাকরি করে করা সম্ভব না। সুত্রটি দাবি করে বলে এরা স্বর্ণ পাচারের পাশাপাশি ফেনসিডিল, ইয়াবারও ব্যবসা করে থাকে। ইমাদুল এর মা ফরিদা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে ফাঁসনো হয়েছে। আমরা এ কাজ করব কেন? সে আগে বিএসআরএম এ ফোরম্যান হিসাবে কাজ করত। কেন তাকে ফাঁসানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।