‘মির্জা কাদের সেতুমন্ত্রীর ভাই বলেই তার বক্তব্যের প্রচার বেশি হয়েছে’

hasan mahmud
ফাইল ছবি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়ে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে। ভ্যাকসিন নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছিল একটি ভুল সংবাদের প্রেক্ষিতে, সেটি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং স্বাস্থ্য সচিব নিরসন করে দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় রিজভী আহমেদসহ বিএনপির নেতারা এসব কথা বলছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান বলেন, আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাব, অতীতেও তারা বৃহত্তর আন্দোলন করেছেন কিন্তু তাতে তারা ফল পাননি বরং নিজের দলের ঐক্যটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করাই শ্রেয়। কারণ তাদের দলের মধ্যে নেতারা যেভাবে বক্তব্য রাখছেন, গত কিছুদিন ধরে যেভাবে একে-অপরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করছেন এবং সামনের সারিতে বসা নিয়ে যেভাবে তারা মারামারি করেছেন রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায়, এতে তাদের দলের যে অনৈক্য সেটি বেরিয়ে এসেছে। প্রথমে দলের ঐক্য স্থাপন করা অ্যতন্ত জরুরি।

তিম্নি বলেন, ১০ জানুয়ারিতে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা মানে তারা যে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস আদৌ কতটুকু করে সেটি নিয়ে যে জনগণের প্রশ্ন আছে, সেই প্রশ্নের উত্তর তারা দিচ্ছেন না, তারা অন্যদিন বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে পারত। এই বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে, আমাদের স্বাধীনতা ১০ জানুয়ারি প্রকৃতপক্ষে পূর্ণতা পেয়েছিল। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে না আসা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। যেদিন আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে, সেদিন বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা মানেই প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে তারা যে বিশ্বাস করে না সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।

মির্জা আবদুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমতো মির্জা আবদুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটির ব্যাখ্যা তিনি এরই মধ্যে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি নোয়াখালীর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন। সারা দেশের রাজনীতি নিয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি। তিনি বিবৃতি দিয়ে এটা জানিয়েছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা আবদুল কাদেরের বক্তব্যে আমি মনে করি, আমাদের দলের মধ্যে যে গণতন্ত্র আছে, যে কেউ তার অভিমত ব্যক্ত করতে পারেন, সেটারই বহিঃপ্রকাশ। সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা যেটা হচ্ছে, সেটার ব্যাখা তিনি যেমন দিয়েছেন, একইসঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে যে কেউ অভিমত ব্যক্ত করতে পারেন। এ রকম অভিমত আমাদের দলের মধ্যে বহুজন বহু আগেও ব্যক্ত করেছেন। তিনি যেহেতু আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের ছোট ভাই, সেজন্য তারটা বেশি প্রচার হয়েছে। এটিই শুধু ভিন্নতা বলে উল্লেখ করেন তিনি।