দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সাথে আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে। কাস্টমস এর হয়রানী ও সিএন্ডএফ সদস্যর কাস্টমস পারমিট কার্ড বাতিলের কারণে বেনাপোল সিএন্ডএফ কর্মচারী স্টাফ এ্যাসোসিয়েশন আমদানি রফতানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা থেকে দুই দেশের আমদানি রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়। ফলে উভয় দেশের দুপাশে আমদানি রফতানি পণ্য নিয়ে প্রবেশ এর অপেক্ষায় শত শত পণ্যবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে।
বুধবার রাতে বেনাপোল স্থলবন্দরের খলিলুর রহমান এন্ড সন্স নামে একটি সিএন্ডএফ এর আমদানিকৃত পণ্যবাহী (ডাব্লিউ ডি এ-৬৬০৩) ট্রাক থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল ও বিভিন্ন প্রকার ওষুধ জব্দ করে বেনাপোল কাস্টমস এর গোয়েন্দা শাখা। এরপর ওই সিএন্ডএফ এর বর্ডারম্যান আক্তার হোসেনকে মাদক ও ওষুধ পাচারের সাথে দায়ী করে কাস্টমস প্রদত্ত পরিচয়পত্র বাতিল করে। এ ঘটনায় স্থানীয় সিএন্ডএফ কর্মচারীরা কাস্টমস এর হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
বেলা সাড়ে ১১ টার সময় বেনাপোল সিএন্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়ন স্টাফ এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বেনাপোল চেকপোষ্ট থেকে বের হয়ে কাস্টমস হাউজ এর সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর কাস্টমস হাউজের সামনে যশোর বেনাপোল মহাসড়কের উপর সমাবেশ করে।
সমাবেশে কাস্টমস পারমিট কার্ড কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে দশ দফা দাবিতে কাস্টমস এর সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ডস স্টাফ এ্যাসোসিয়েশন। দাবিগুলো হলো, (১) কাস্টমস এর অধীনে পোষ্টিং মানি না, (২) কোন ভারতীয় ট্রাকে অবৈধ মালামালের জন্য ষ্টাফ এসোসিয়শনের সদস্য দায়ী থাকবে না। (৩) কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতিরেকে কাস্টমস সরকার পারমিট কার্ড বাতিল মানবো না, (৪) ষ্টাফ এসোসিয়শনের কোন সদস্যের সাথে অসদাচরণ করা চলবে না, (৫) যত্রতত্র কাস্টমস সরকার পারমিট কার্ড/লাইসেন্স বাতিল করা মানিনা, (৬) এনজিও কর্মিমুক্ত কাস্টমস চাই। (৭) ষ্টাফ এসোসিয়শনের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্বে ষ্টাফ এসোসিয়শনকে অবহিত করতে হবে, (৮) যোগ্যতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাস্টমস সরকার পারমিট পরিবর্তন করতে হবে, (৯) সুষ্ঠু কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, (১০) বর্ডারে এন্ট্রি পয়েন্টে প্রত্যেক ভারতীয় ট্রাক ১০০% চেক করে ঢোকানো হোক।
এ্যাসোসিয়েশন নেতারা বলেন, করোনাকালীন সময়ে কোন বর্ডারম্যান ভারতে যায় না। ভারত থেকে হেলপার ও চালকরা পণ্য বোঝাই আমদানি পণ্য নিয়ে আসে। এবং বাংলাদেশে প্রবেশের পর যদি বাংলাদেশ গেটে আমদানি গাড়ি তল্লাশি করে তবে কোন মাদক বা অন্য ধরনের পণ্য প্রবেশ করতে পারে না। আমাদের দাবি শতভাগ গাড়ি চেক করার পরও যদি কোন মাদক পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে কোন সিএন্ডএফ কর্মী দায়ী থাকবে না।