করোনা মোকাবেলায় ১০ নির্বাহী আদেশে সই বাইডেনের

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ১০ নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দিনই বাইডেন এসব আদেশে সই করলেন। খবর বিবিসির।

১০ নির্বাহী আদেশ ঘোষণার সময় জো বাইডেন আশা প্রকাশ করেন যে, এসব বিধিনিষেধ মেনে চললে এবং জনগণ যদি ঐকমত্য হয়, তবে এই মহামারী কয়েক মাসের মধ্যেই মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

১০টি উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে– করোনার ভ্যাকসিনের ব্যবহার বাড়ানো, করোনার চিকিৎসা সামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মাস্কের ব্যবহারে আরও কড়াকড়ি আরোপ করা।

জো বাইডেন এ ব্যবস্থাগুলোকে খুবই বাস্তবসম্মত উদ্যোগ বলে অভিহিত করেছেন। ‘বিষয়টি আমাকে স্পষ্ট করতে দিন। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে দিন।’

‘শক্ত বাস্তবমুখী পদক্ষেপ’ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘এটা সস্তায় হবে না। পরিষ্কার করে বলতে চাই– পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত ব্যাপক কড়াকড়ি থাকবে।’

সামনের মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে নভেল করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু পাঁচ লাখ ছাড়ানোর আশঙ্কা করছেন জো বাইডেন। তাই দেশটির কোভিড বাস্তবতাকে ‘যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

ক্ষমতাগ্রহণের প্রথম একশ’ দিনে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৫ পদ্ধতি অবলম্বনের কথা বলেছেন জো বাইডেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেখানে করোনাকে গুরুত্ব দিতেই রাজি ছিলেন না সেখানে বাইডেনের এসব উদ্যোগকে বড় ধরনের ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে। মহামারী মোকাবেলায় ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে মার্কিনিদের মধ্যে সমালোচনা এখনও তুঙ্গে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, আজ পর্যন্ত মহামারী করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে চার লাখ ছয় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৪৫ লাখেরও বেশি মানুষ।