অস্ট্রেলিয়াকে ব্লকের হুমকি গুগলের

সংবাদ মাধ্যমের কনটেন্ট ব্যবহার করলে তাদেরকে মুনাফার অংশ দিতে হবে এমন আইন পাস করলে অস্ট্রেলিয়াকে ব্লকের হুমকি দিয়েছে গুগুল। এর অর্থ হলো অস্ট্রেলিয়ায় যারা গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে ব্লক করলে তারা সেটা করতে পারবে না।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সংবাদ মাধ্যমের কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে সংবাদমাধ্যমগুলোকে মুনাফা দিতে হবে বলে খসড়া আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের নাম দেয়া হয়েছে ‘নিউজ মিডিয়া অ্যান্ড ডিজিটাল প্ল্যাটফরমস মেন্ডেটরি বারগেইনিং কোড৷’ ফেসবুক ও গুগলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ প্রকাশ করে সেগুলোতে বিজ্ঞাপনও দেয়৷ কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনের অর্থ সংবাদ মাধ্যমগুলো সঠিকভাবে পায় না৷ এমন বৈষম্য দূর করতেই এই আইন৷ অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের কোষাধ্যক্ষ জশ ফ্রাইডেনবার্গ এই আইন ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফরম ও সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করবে বলে উল্লেখ করেছিলেন।

শুক্রবার এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সিনেট কমিটিকে গুগল অস্ট্রেলিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মেল সিলভা অস্ট্রেলিয়া সরকারকে আল্টিমেটাম দেন। তিনি বলেন, কোনো পরিবর্তন ছাড়াই যদি অস্ট্রেলিয়া খসড়া আইন পাস করে, তাহলে সেটা খুব খারাপ পরিস্থিতি হবে। আইন প্রণয়ন করলে গুগল অস্ট্রেলিয়াকে ব্লক করবে। প্রস্তাবিত আইন অচল এবং ক্ষতিকর নজির সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোম্পানি চায় অস্ট্রেলিয়া সরকার আইন পরিবর্তন করুক। বিশ্বজুড়ে মিডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তাদের ৪৫০টি চুক্তি আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার হুমকিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে না। অস্ট্রেলিয়ার আইন অস্ট্রেলিয়া প্রণয়ন করে থাকে সাফ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে কাজ করতে হলে আপনাদেরকে আমাদের আইন মানতে হবে।

খসড়া আইনে যা আছে

এই আইনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যম এবং টিভি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে আর্থিক চুক্তি করতে উৎসাহিত করা হবে বিভিন্ন টেক জায়ান্টকে৷ যদি তারা নিজেরা এমন চুক্তিতে একমত হতে না পারে, তাহলে একজন স্বাধীন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে৷ আইন না মানলে এক কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ৬৩ কোটি বাংলাদেশি টাকা) পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে আইনে৷

শুরুতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যমগুলোকে বাদ দেয়া হলেও এখন খসড়ায় সেগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ আপাতত খসড়া আইনে কেবল ফেসবুক নিউজ ফিড এবং গুগল সার্চকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ তবে পরবর্তীতে অন্য কোনো প্ল্যাটফরম একইভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠলে তাদেরও এই আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানানো হয়েছে৷