যাকাতের অর্থ আত্মসাত মামলায় সাঈদীর আবেদনের ওপর শুনানি মুলতবি

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর হাইকোর্টে করা আবেদনের ওপর শুনানি আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মূলতবি করা হয়েছে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আদালতে সাঈদীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এজে মোহাম্মদ আলী ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

সাঈদীর বিরুদ্ধে গত ১১ জানুয়ারি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ অভিযোগ গঠন করা হয়। একইসঙ্গে এ মামলায় আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। এ অবস্থায় ওই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত তহবিলের এককোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ২৪ মে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করা হয়। মামলাটিতে তদন্ত শেষে সাঈদীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে মামলার আসামি সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন শাহজাহান মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকী ছয় আসামির বিরুদ্ধেও মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছাড়া অপর পাঁচ আসামি হলেন- ইফার সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হক। আসামিদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুল হক পলাতক। অপর তিন আসামি জামিনে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে এখন কারাবন্দি।