করোনা টিকার ‘অনস্পট’ নিবন্ধন আপাতত বন্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

jahid malek
ফাইল ছবি

কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত জনসমাগম এড়াতে অনস্পটে গিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম আপাতত বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা কেন্দ্রগুলোতে ভিড় এড়াতে এবং সুষ্ঠুভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে আজ থেকে ‘অনস্পট’নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। পরে আবারও প্রয়োজন হলে সশরীরে এসে নিবন্ধন করে টিকা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের অনলাইন নিবন্ধনের চেয়ে অনস্পট নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়েছে। এদিকে যারা অনলাইনে নিবন্ধন করে টিকা নিতে আসছে, তারা বিভিন্নরকম ভোগান্তিতে পড়ছেন। অনস্পট নিবন্ধনের কারণে তাদেরকে এসে বসে থাকতে হচ্ছে। বয়স্করাও এসে কষ্ট পাচ্ছেন। তাই আজ থেকে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, টিকা নিতে ইতোমধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পৌনে তিল লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে, আজকের মধ্যে চার লাখ টিকা দেওয়া হবে।

সমালোচনাকারীরা আগেই টিকা নিয়ে নিচ্ছেন জানিয়ে জাহিদ মালেক আরও বলেন, দিনে দিনে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা বেড়েছে। টিকা নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা হয়েছিল, সবকিছুকে তোয়াক্কা করে টিকা কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে, যারা সমালোচনা করেছিল, তারাও আগে আগে টিকা নিয়ে নিচ্ছে।

জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমেছে। করোনায় এখন যে সংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে, তারচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ প্রতিদিন সাপের কামড়ে, ক্যান্সারে, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। কিন্তু ওগুলোর খোঁজ-খবর আমরা রাখি না। খবর রাখি শুধু করোনার।

স্বাস্থ্যসেবাকে আরও ডিজিটালাইজড করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসেবাকে আরও গতিশীল করতে চাই। আমরা স্বাস্থ্যসেবা আরও বাড়াতে চাই। এজন্য আমাদেরকে ডিজিটালাইজড হতে হবে। এ লক্ষ্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত আমাদের প্রস্তাবনা একনেকে উপস্থাপন করা হবে। এর ফলে কোন রোগে কোথায় আক্রান্ত, মৃত্যু বেশি হচ্ছে, এগুলো জানতে পারব। কারণটাও জানতে পারব, যোগ করেন তিনি।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, এক সময়ে প্রতিটি জেলাই পেপারলেস হয়ে যাবে। তবে আমাদের কিছু সমস্যাও আছে। আমরা ট্যাব দিতে পারিনি, দিলেও হয়তো সেগুলোর কোয়ালিটি এতটা ভালো না, আর ভালো হলেও সেগুলো চালাতে পারছে না। এগুলো আমরা দেখব। প্রশিক্ষণে নজর দিতে হবে।