২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর চেয়ে সুস্থতার সংখ্যা বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী উল্লেখিত সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ৩২৬ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৪৬২ জন। এতে শনিবারের চেয়ে শনাক্তের হার কমে ২.৫৩ শতাংশ হয়েছে। শনিবার ছিল ২.৬৫ শতাংশ। অপরদিকে সুস্থতার হার বেড়েছে। শনিবার সুস্থতার হার ছিল ৯০.৭ শতাংশ, যা আজ ৯০.১৩ শতাংশ।

রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৭৪ জনে। এছাড়া গত একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩২৬ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৪৬২ জন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ২১০টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৯০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ১১৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩০ হাজার ৫৯২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও তিনজন নারী।

নতুন মৃতদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন। একজন ৩১-৪০ এর মধ্যে ও অপরজন ৪০-৫০ এর মধ্যে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে গত এক দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৬২ জন রোগী করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ২২৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।