নব্য রাজাকাররা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করতে চায়: হাফিজ

নব্য রাজাকারের দল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম।

মেজর হাফিজ বলেন, নয় মাস ধরে আমরা যুদ্ধ করেছি এই দেশের জন্য। ১৯৭১ সালে ১৫ই ডিসেম্বর মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে আমরা সিলেট দখলমুক্ত করে ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আগ মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষ যখন ভীত-সন্ত্রস্ত তখন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই ঘোষণায় জাতি খুব অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এ ভাষণ বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক মাইলফলক। হাজারো বাধার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলো মেজর জিয়ার ভাষণ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমরা শুনতে পাচ্ছি জিয়াউর রহমান নাকি পাকিস্তানের দোসর ছিলেন। আমিতো সাক্ষী, মেজর জিয়াউর রহমান বীর উত্তম রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধ করেই দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। কষ্টের বিষয় হচ্ছে, তার এই খেতাব ছিনিয়ে নেয়ার জন্য একটা কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশ রাজাকার শব্দটি অত্যন্ত ঘৃণিত। আরেকটি শব্দ অত্যন্ত গৃহীত হওয়ার পথে, যদি ইতিমধ্যে ঘৃণিত হয়েছে তার নাম জামুকা। নব্য রাজাকারের দল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করতে চায়। যুদ্ধ কতোটা ভয়াবহ ছিলো জামুকা সেটি কল্পনাও করতে পারে না। জীবনের বিনিময়ে আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছি। রাজনৈতিক নেতারা ছিলেন তখন শরণার্থী। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশকে স্বাধীন করলো, তাদের কি একটু সম্মান দেয়া যায় না এই স্বাধীন বাংলাদেশ? আমি কি এই সম্মানটুকু আশা করতে পারি না?

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। দেশে গণতন্ত্র নয়, আইনের শাসন নাই। কিন্তু এই সময়েও কার্যকরভাবে রাজপথে নেমেছে একমাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে অনেক দল আছে যারা সরকার আসলে মন্ত্রী হবেন, এমপি হবেন, প্রধানমন্ত্রী হবেন, কিন্তু তাদের কাউকেই রাজপথে দেখা যায় না। আমি সকল দলকে রাজপথে নামার জন্য আহ্বান জানাই।

এ বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বিএনপি’র যুগ্ন মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।