কিম জং উনকে এয়ারফোর্স ওয়ানে বাড়ি পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প!

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিজের এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে করে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উনকে তাঁর নিজের দেশে পৌঁছে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের এমন আগ্রহে কোন সাড়া দেননি কোরিয়ান একনায়ক। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিম জং উনকে নিজের একজন খুব ভালো বন্ধু বলেও বর্ণনা করেন বিভিন্ন সময়ে। ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টাদের জবানিতে এসব উঠে এসেছে।

ট্রাম্পের তৎকালীন ডেপুটি নিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাথিউ পোটিঙ্গার বার্তা সংস্থা বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন। এই খবর এতোদিন গোপন রাখা হয়েছিল। বিশ্ব পরিমন্ডলে ব্যাপক সমালোচনার আশংকায় এই বিষয়টি চেপে রাখা হয়। ট্রাম্প ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর তাঁর এমন সব একরোখা ও বেপরোয়া খবর এখন সামনে আসছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে মোট তিনবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শেষ দফা উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার ডিমিলিটাবাইজট জোনে উভয়ের মাঝে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাঁর এসব বৈঠক নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্পের এক সময়ের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, যিনি এসব বৈঠকে নিজেও উপস্থিত ছিলেন। বিবিসিকে দেয়া বক্তব্যে জন বোল্টন বলেন, কিম জং উন’কে ট্রাম্প মনে করেছিলেন একজন সেরা বন্ধুর সন্ধান পেয়েছেন তিনি।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ ও ২৮ তারিখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক ভিয়েতনামের হ্যানয়ে সিটির মেট্রোপল হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে ২০১৮ সালের ১২ জুন ট্রাম্প ও কিম সিঙ্গাপুরে প্রথম বৈঠকে মিলিত হন। দ্বিতীয় বৈঠকে যোগ দিতে উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমকে কয়েক দিনের দীর্ঘ ট্রেন সফর করে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে আসতে হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এটা জানার পর ট্রাম্প কিম জং উনকে বলেন, তিনি চাইলে সুপরিসর এয়ারফোর্স ওয়ানে মাত্র ২ ঘণ্টায় পিয়ং ইয়ং পৌঁছে দেয়া হবে। কিন্তু কিম জং উন এই প্রস্তাবে রাজি হননি।

আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে একঘরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বরাবরই অত্যন্ত বৈরি সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের। আমেরিকার জনগণ উত্তর কোরিয়াকে একটি বৈরী রাষ্ট্র হিসেবেই বিবেচনা করে। পারমাণবিক বোমা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে যুক্তরাষ্ট্রের লোকজন তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করে। এ ছাড়া বহির্বিশ্বে মার্কিন মিত্রদের কাছেও উত্তর কোরিয়া একটি বৈরী রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে।