৭ এপ্রিল থেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে চায় সরকার

আগামী ৭ এপ্রিল থেকে দেশে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এই তথ্য জানান।

গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এর পরদিন ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ও বিএসএমএমইউতে পরীক্ষামূলকভাবে ৫৪১ জনকে টিকা দেয়া হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।

করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী দেশে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই মাসে ৫০ লাখ টিকা পাওয়ার কথা থাকলেও পেয়েছি ২০ লাখ। অর্থাৎ এখানে একটি ঘাটতি হয়ে গেল। এ বিষয়ে আমরা সেরামের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছি। এখানকার যারা সাপ্লাইয়ার, তাদের ওপরেও আমরা চাপ প্রয়োগ করেছি যে, আপনারা এটা তাড়াতাড়ি মেকআপ করেন। এ পর্যন্ত ২৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। এছাড়া নিবন্ধন করেছে ৩৬ লাখ মানুষ। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘সেরাম ইনস্টিটিউটও চাপের মধ্যে আছে। ভারত সরকার এবং বিশ্বজুড়ে চাপ আছে। এই ভ্যাকসিনটি বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে ও চাহিদা রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে এখন থেকে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছি।’

দেশে নতুন কিছু সাপ্লাইয়ার আবেদন করেছে জানিয়ে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, ‘সে বিষয়েও আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি, বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। এটা সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। সামনে যতটুকু সরবরাহ হবে সেটার ওপরই আমাদের কার্যক্রম নির্ভর করবে।’