কলকাতায় মোদির সমাবেশে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, রোববার কলকাতায় শাসক দল বিজেপির এ জনসভায় বিশৃঙ্খলা সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের।

খবরে বলা হয়, জনতাকে সামলাতে একের পর এক বিজেপি নেতা মঞ্চে এসেও কাজ হয়নি। বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ বারবার জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেও পারেননি। শেষে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র টানা তিন মিনিট মিষ্টি কথায় শান্ত হয় বিগ্রেড।

এদিন ব্রিগেডের মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী উঠতেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় ময়দানে। তখনই সাংবাদিকদের জন্য সংরক্ষিত জায়গার পেছন থেকে বিজেপি নেতারা সামনের দিকে এগিয়ে আসলে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা।

সেসময় মঞ্চে বিজেপি নেতাদের মুখে স্পষ্ট ধরা পড়ে উদ্বেগের ছাপ। বাবুল চলে আসেন মাইকের সামনে। জনতাকে বারবার শান্ত হতে বলেন। এরপর বাবুলকে সরিয়ে লকেট চলে আসেন ডায়াসে।

ভিড়ের মধ্যে কোথায় জটলা হচ্ছে তা ক্যামেরায় দেখা না গেলেও বিজেপি নেতাদের মুখের ভাব দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তারা বেশ উদ্বিগ্ন।

নরেন্দ্র মোদি ব্রিগেডে আসার সময় যত এগিয়েছে ততই বেড়েছে সেই উদ্বেগ। ব্রিগেডে এসে মোদিকে যেন এ ধরনের পরিস্থিতির মুখে না পড়তে হয়, সেজন্য বেশ তৎপর হয়ে ওঠেন বিজেপি নেতারা।

রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বেশ কড়া মেজাজেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের শান্ত হতে বলেন।

দীলিপের এমন ধমকেও কাজ না হওয়ায় এরপরই আসেন বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। টানা ৩ মিনিট ধরে অত্যন্ত মিষ্টি কথায় তিনি শান্ত করার চেষ্টা করেন সবাইকে। তার কথাতেই কাজ হয়। জনতার মনোযোগ সরাতে পরে মিঠুন চক্রবর্তীকে মঞ্চে ডেকে নেন কৈলাস।

তবে মিঠুনের বক্তৃতা চলাকালীন বিশৃঙ্খলা কিছুটা থামলেও ব্রিগেডে মোদি ঢোকার মুখেই ফের শুরু হয় গোলমাল।