দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছেই, দুই মাসে রেকর্ড আক্রান্ত

ধীরে ধীরে যখন দেশের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল, সেই আশার মধ্যে আবার আক্রান্ত বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৬ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সে হিসেবে বর্তমানে সংক্রমণের হার ফের দৈনিক ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৫১৫ জন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছেন নতুন ১ হাজার ৬৬ জন। কোভিড-১৯ এ গত দুই মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। নতুন ১০৬৬ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২২২ জন।

এর আগে গত বুধবার (১০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই মাস পর একদিনে হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সেদিন শনাক্ত হন ১০১৮ জন। কিন্তু পরদিনই (১১ মার্চ) শনাক্ত আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১০৫১ জনে। সর্বশেষ শুক্রবার (১২ মার্চ) আগের দুইদিনের রেকর্ডও ভেঙে দিল।

এর আগে সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক দিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল, সেদিন ১ হাজার ৭১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সেদিনের পর থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচেই ছিল।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ২৫২ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৯ হাজার ১৭২ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ। আর তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।