শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সম্মান দিতে হবে: অ্যামনেস্টি

amnesty international

বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সমবেত হওয়ার এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সম্মান করতে হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

শুক্রবার নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় সংস্থাটি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক সুলতান মোহাম্মাদ জাকারিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, চট্টগ্রাম ও ঢাকার সহিংসতার দৃশ্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের আচরণের একটি পরিচিত রূপ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার হামলার শিকার হয়েছে বিশেষ করে এই করোনা মহামারীর সময়ে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও সংবিধানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার আছে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এগুলোকে সম্মান করতে হবে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষা ও বেআইনি শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে সমাবেশে পুলিশের গুলি চালানোর পর চার জনের মৃত্যুর ঘটনা স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর এমন বিবৃতি দিয়েছে সংস্থাটি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, গতকাল চট্টগ্রামে বিক্ষোভকারীদের র‌্যালিতে পুলিশ গুলি চালায় এবং তাতে কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন কয়েক ডজন মানুষ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে এসব বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছিল।

অন্যদিকে, ঢাকায় পৃথক আরেক বিক্ষোভে ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন, সেখানে ফাঁকা গুলিও করা হয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে বিক্ষোভ হলেই তা সহিংসভাবে দমন করা হচ্ছে এবং গতকালেরটি এর মধ্যে সাম্প্রতিকতম।

অ্যামনেস্টির দাবি ওই ঘটনায় ১০০ এরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।