যশোরে পুত্র বধূকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শ্বশুর শ্রীঘরে

jessore atok map

যশোরে পুত্র বধূকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শ্বশুর হারুনুর রশিদকে (৬৬) পুলিশ আটক করেছে। আটক হরুনুর রশিদ উপশহর ৭ নং সেক্টর এ/১৫ নং বাড়ির মৃত ওসমান আলী বিশ্বাসের ছেলে।

শুক্রবার রাতে উপশহর ফাঁড়ির আইসি সাইফুল মালেক হারুনুর রশিদকে আটক করেন। এর আগে উপশহর ৭ নং সেক্টর এ /১৫ নং বাড়ির এনামুল হাসানের স্ত্রী অলিমা হাসান (৩২) বাদি হয়ে শুক্রবার (২ এপ্রিল) রাতে কোতয়ালি থানায় শ্বশুর হারুনর রশিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় অলিমা হাসান উল্লেখ করেছেন, একই এলাকায় তিনি তার পিতার ৫তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের ৪র্থ তলায় স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। একই বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় শ্বশুর হারুনর রশিদ বসবাস করেন। অলিমা হাসানের স্বামী এনামুল হাসান ব্যবসার কাজে বাড়ির বাইরে অবস্থান করেন। শ্বশুর হারুনর রশিদ হাত পা ম্যাসেজ করার জন্য পুত্র বধূ অলিমা হাসানকে বার বার অনুরোধ করেন। শ্বশুর পিতা সমতূল্য হওয়ায় ২/৩ বছর আগে থেকেই তার হাত পা ম্যাসেজ করে দিই। হাত পা ম্যাসেজ করার সময় শ্বশুর হারুনর রশিদ পুত্র বধূ অলিমা হাসানকে কু প্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অলিমা হাসানকে তার স্বামীর সাথে সংসার করতে দেবে না ও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় শ্বশুর হারুনর রশিদ। আগেও হারুনর রশিদ পুত্র বধূকে অশ্লীল কথা বার্তা বলতো ও কু প্রস্তাব দিতো। অলিমা হাসান এবিষয়ে শ্বশুর হারুনর রশিদকে অনেক অনুরোধ করে বাধা দেন। কিন্তু শ্বশুর হারুনর রশিদ এতে থামে না। বরং তিনি পুত্র বধূকে বাড়ি লিখে দেয়ার প্রলোভন দেখান। ১২ মার্চ দুপুরে শ্বশুর হারুনর রশিদ তার শোবার ঘরে খাটের উপর বসা অবস্থায় পুত্র বধূ অলিমা হাসানকে ডাক দেয় হাত-পা ম্যাসেজ করে দেয়ার জন্য। অলিমা হাসান শ্বশুর হারুনর রশিদের ঘরে যেয়ে শ্বশুড়ি কোথায় জানতে চান। শ্বশুর হারুনর রশিদ বলেন নাই। শ্বশুর হারুনর রশিদের খারাপ উদ্দেশ্যে বুঝতে পেরে পুত্র বধূ অলিমা হাসান ঘর থেকে বের হওয়ায় চেষ্টা করে। এ সময় শ্বশুর হারুনর রশিদ তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে পুত্র বধূকে জাপ্টিয়ে ধরে ও স্পশ কার্তর স্থানে হাত দেয়। পুত্র বধূর থ্রীপিচ ও ওড়না ধরে টেনে হেচড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়। পুত্রবধূর চিৎকারে দেবর এমদাদ (২২) এগিয়ে গেলে পুত্রবধূ অলিমা হাসান রক্ষা পান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সাইফুল মালেক জানান, ২ এপ্রিল শুক্রবার রাতে শ্বশুর হারুনর রশিদকে আটক করা হয়। শনিবার ৩ এপ্রিল তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়।