চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে ১ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে

দেশে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে বছরে ১ কোটি ১৪ লাখের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের ১১টি দেশ নিয়ে ‘হালনাগাদ ২০১৯’ নামে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে মিলেছে এমন তথ্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, একটি পরিবার তার মোট ব্যয়ের ১০ শতাংশ অর্থ খরচ করছে শুধু ‘আকস্মিক স্বাস্থ্য ব্যয়ের’ কারণে। দেশে এমন মানুষের হার প্রায় ২৫ শতাংশ। অগ্রাধিকার ঠিক করে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ না বাড়ানোর কারণেই এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে বলেও মত সংস্থাটির।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের শিক্ষক রেজাউল আজিম বলেন, গত দশক হতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে, অনেক ধরণের স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার অনেক সূচকেই বাংলাদেশ প্রভূত সফলতা অর্জন করেছে। তারপরও দুঃখজনক ব্যাপার হলো, স্বাস্থ্যসেবা নিতে একজন মানুষের খরচের প্রতি ১০০ টাকায় গড়ে ৬৭ টাকা নিজের পকেট হতে খরচ হয়, সরকার দেয় আনুমানিক ২৩ টাকা, বাকিটা অন্যান্য উৎস হতে আসে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার যত উপাদান আছে তার মধ্যে শুধু ওষুধের জন্য বাংলাদেশে খরচ হয় প্রায় ৪৭ শতাংশ টাকা। একজন মানুষের শুধু ওষুধের জন্য যত খরচ হয় তার ৭০ শতাংশ নিজের পকেট হতে খরচ হয়।

ব্যক্তির স্বাস্থ্য ব্যয় কমাতে, স্বাস্থ্যখাতে বাজেটের ১০ শতাংশ বরাদ্দ করা, গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা, সরকারি হাসপাতাল হতে চিকিৎসা নিতে জনগণকে উদ্ভুদ্ধ করা, ওষুধের দাম কমানো ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার বন্ধ করা উচি বলেও মনে করেন এই গবেষক।

সূত্র: ডক্টর টিভি