ব্যবসায়ীরা অসৎ হলে আল্লাহ তাদের বিচার করবে : খাদ্যমন্ত্রী

ব্যবসায়ীদের সততার প্রশ্নে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখলেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ীরা যদি সৎ না হয় লাভ বেশি করতে চায়, মানবতাবিরোধী কাজ করতে চায় তাহলে তাদের বিচার আল্লাহ করবে।’

খাদ্যমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নির্মিতব্য খাদ্য গুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে চাল আমদানি না হলে চালের কেজি হত ১০০ টাকা। তাই সরকার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষিকে যান্ত্রিক আধুনিকরণ করছে। স্বল্পমূল্যে সার দেওয়া হচ্ছে। কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে। উন্নত গবেষণা হচ্ছে।

এ বছর চুক্তি অনুযায়ী খাদ্য গুদামের মিল মালিকরা চাল সরবরাহ না করতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে পুষতে হচ্ছে। প্রতিবছর রোহিঙ্গাদের ২০ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে। এদেরকে খাওয়াচ্ছে সরকার। সার্বিক চিন্তা করলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে আমাদের সততার প্রশ্ন আছে। ব্যবসায়ীরা সবাই যদি সৎ না হয় তাহলে দেশের ভাগ্য উন্নয়ন হয় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে চেষ্টা করে যাচ্ছেন তার সাথে আমাদেরকে সমপর্যায়ের কাজ করতে হবে।

তিনি জানান, ভবিষতে ৩৫ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ রাখা যায়, সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। গত কয়েকদিন আগে ৩৫টি প্যাডি সাইলো নির্মাণের জন্যে জাতীয় অর্থনীতি কমিটি একনেকে পাশ হয়েছে। বরিশাল-চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, নওগাঁ নতুন পাঁচটি বড় আকারের সাইলো নির্মাণ করা হবে।
আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে সরকার। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম শেখ। পরে মন্ত্রী চলমান বরো সংগ্রহ ২০২১ কার্যক্রম নিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।