শিশুর পুষ্টি যেভাবে নিশ্চিত করতে হবে

অনেকেই জানতে চান করোনাকালে শিশুর পুষ্টি কিভাবে নিশ্চিত করতে হবে? এর যৌক্তিক কারণও রয়েছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার মধ্যে অপুষ্টির হার বেড়ে গেছে। এর অন্যতম কারণ হলো, জিনিসপত্র অনেকেরই ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কিন্তু এই সময়ে শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করা বিশেষ জরুরি।

হাতের কাছে যেসব খাবার আছে, তা দিয়েই বাচ্চার সর্বোচ্চ পুষ্টি নিশ্চিত করা যায়। যেমন, একটি কলা। খুব বেশি দাম না। কিন্তু এটির মাধ্যমে আমরা শিশুর পুষ্টিগুণ ঠিক রাখতে পারব।

করোনা কিংবা স্বাভাবিক সময়— সব সময়ই শিশুকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। পুষ্টি করোনার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত। আবারো বলব, হাতের কাছে যা আছে, তাই দিয়ে পুষ্টি নিশ্চিত করুন। বাড়ির ও হাড়ির খাবারে করা গেলে সবচেয়ে ভালো। একটি বাচ্চার পুষ্টি ঠিক থাকলে সে সুস্থ থাকবে।

বারবার অসুস্থ হবে না। এরপর বয়সের সাথে সাথে শিশুর খাবারের মাত্রাটা ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে। শিশুর বয়স ছয় বছর হলে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। আস্তে আস্তে নতুন খাবার যুক্ত করতে হবে। শিশু একটা খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যাবে, আরেকটা নতুন খাবারের সাথে সম্পর্ক করাতে হবে।

করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের ছেড়ে না দিয়ে মা-বাবাকে আরও যত্নশীল হতে হবে। স্কুল বন্ধ থাকায় অনেকেই দেখা যাচ্ছে, আগে সকাল ৭টায় যখন শিশু স্কুলে যেত, এখন ঘুমাচ্ছে। মা-বাবাও তাকে ঘুমাতে দিচ্ছে। এতে তার সাধারণ লাইফস্টাইল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

কিছুদিন পরে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, তাকে আবার নরমাল লাইফে নিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়বে। এজন্য শিশুর সকালে ওঠার অভ্যাস ধরে রাখতে হবে। সময় মতো লেখাপড়া ও খেলাধুলায় অভ্যস্ত করতে হবে। এছাড়া খেয়াল করতে হবে, কোনো মতেই বাচ্চা যেন পানিশূন্যতায় না ভোগে।

আমরা সব সময় বলি, একটি শিশুর যত্নের জন্য তার মায়ের যত্নটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এরপর বাচ্চা জন্ম গ্রহণের পর ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করবে। মায়ের দুধ খেলে বাচ্চা কোনো প্রকার অপুষ্টিতে ভুগবে না। অপুষ্টিজনিত সমস্যাও কম হবে।

বয়স ছয় মাস পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর বাচ্চাকে সম্পূরক খাবার দিতে হবে। এগুলো অবশ্যই বাড়ির খাবার হতে হবে। একটি বাচ্চার পরিপাকতন্ত্র ও পাকস্থলি থাকে ছোট। এজন্য তার ছোট্ট পেটটা পুষ্টিকর খাবারে পূর্ণ হতে হবে। সে চেষ্টাই অভিভাবকদের করা উচিত।

আমি মা-বাবাদের উদ্দেশ্য বলব, একবার খাওয়ার পর পুরোপুরি হজম হতে বাচ্চার তিন থেকে চার ঘণ্টা লেগে যায়। এক্ষেত্রে বাচ্চাকে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরপর খেতে বললে সে খাবে না।

এজন্য আপনি বাচ্চাকে যে পরিমাণ খাবার খেতে বলছেন, তা তার চাহিদার থেকে অতিরিক্ত কিনা খেয়াল রাখতে হবে। বাচ্চার যতটুকু খাবার প্রয়োজন, ততটুকু এবং সঠিক সময়ে দিতে হবে। সূত্র: ডক্টর টিভি