গ্রামে করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেড় বছর ধরে অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে আমরা যুদ্ধ করছি। এখন আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে ও সরকারের ঘোষিত লকডাউন মানতে হবে।

গ্রামের হাট-বাজার-চায়ের দোকানের মানুষজনের আড্ডা বন্ধ করতে হবে। গ্রামের মানুষের ধারণা ছিল, তাদের করোনা হবে না। কিন্তু এখন গ্রামে করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি।

সোমবার সন্ধ্যায় চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মানিকগঞ্জের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া। সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য অন্যসব মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং কমিটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। সচেতনতার জন্য নিয়মিত মাইকিং করতে হবে। সচেতনতার অভাবে আমরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছি। জ্বর-কাশি নিয়ে অবহেলা করা যাবে না। টেস্ট নিয়ে অনেকের মধ্যে অনাগ্রহ রয়েছে। করোনা টেস্ট বাড়াতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সারাদেশে স্বাস্থ্য বিভাগে ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান মিলিয়ে ৫০ হাজার লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও ডাক্তার, নার্স নিয়োগ দেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে ননকভিড রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আমরা সচেতন না হলে হাসপাতালের বেড বাড়িয়েও কুল পাওয়া যাবে না। সারাদেশে করোনার রোগীর জন্য ১৬ হাজার বেড রয়েছে। ইতিমধ্যে ৯০ ভাগ বেডে রোগী আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন আনার জন্য আমরা সব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। চলতি মাসে এক কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। আগামী মাসে আরও এক কোটি ভ্যাকসিন আসবে। ভ্যাকসিন দেওয়া পাশাপাশি আমাদের মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় গ্রামের পর গ্রাম উজার হবে হাসপাতালেও জায়গা পাওয়া যাবে না।