হিরো আলমের দাম ১৫ লাখ টাকা

যশোরের কেশবপুরে একটি ষাঁড়ের ওজন ২৭ মন। বিনোদন দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তিত্ব হিরো আলমের নামে ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে হিরো আলম। ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুটির দাম চাওয়া হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা।

কেশবপুর উপজেলা সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের মেহেরপুর গ্রামের রমজান মোড়লের ছেলে মোহাম্মদ আজিজুর রহমান গরুটির মালিক। হিরো আলম নামের গরুটির বয়স প্রায় চার বছর। লম্বায় সাড়ে আট ফিট। উচ্চতা পাঁচ ফিট সাত ইঞ্চি।

সরেজমিন কেশবপুর উপজেলার মেহেরপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, পলি টিনের চালাঘরে রাখা হিরো আলমকে তাঁর মেয়ে মিথিলা আক্তার পরম যত্নে লালন পালন করছেন। হিরো আলমকে প্রতিদিন তিনবেলা ভূষি, খৈল, ভুট্টা ও ঘাস খাওয়ানোর পাশাপাশি কমলা লেবু, মাল্টা, পাকা কলা, বাদাম এবং পাউরুটিও খেতে দেয়া হয়।

প্রতিদিন গরুটিকে খাওয়ানোর জন্য খরচ প্রায় ৬০০ টাকা। ষাঁড়টি তিনি প্রায় ৪ বছর আগে সাতক্ষীরা থেকে দুই লাখ টাকায় ক্রয় করেন। এরপর ষাঁড়টির নামকরন করা হয় ব্যাপক আলোচিত সমালোচিত হিরো আলমের নামে। ষাঁড়টির ওজন ২৭ মন। দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাক টাকা।

আর এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিনই বিশাল আকৃতির ষাঁড়টি দেখতে মানুষ ভীড় করছে। এদিকে স্থানীয় শাহিনুর রহমান জানান, হিরো আলমের মতো এত বড় গরু আমাদের এই এলাকায় আরেকটিও নাই। হিরো আলমকে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে।

এত বড় গরু দেখে আমরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছি। ভবিষ্যতে আমরাও চেষ্টা করব গরুর খামার করতে। গরুর মালিক আজিজুর রহমান বলেন, গরু লালন-পালন করতে আমার খুব ভালো লাগে। পরিবারের সকলে মিলেই গরুটির লালনপালন করা হয়। হিরো আলম নামের গরুটি এ উপজেলার সবচেয়ে বড়।

তাকে এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রি করা হবে। আমরা ষাঁড়টির দাম চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা। লকডাউনের কারণে গরুটি বিক্রি করা নিয়ে তার কিছুটা চিন্তিত। কোনো পশু হাটে তাকে এখনও নিয়ে যাওয়া হয়নি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এতো বড় গরু হাটে নেওয়া সম্ভব না বিধায় বাড়ি থেকেই কোরবানির জন্য ক্রেতা বা ব্যবসায়ীর কাছে গরুটি বিক্রি করতে ইচ্ছুক বলে জানান তিনি।

আগ্রহীদের তার ব্যবহৃত ০১৭৩১২৭৯২৪৩ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। স্থানীয় প্রাণী চিকিৎসক আব্দুর রহিম বলেন, তিনি ছোট অবস্থা থেকেই গরুটির চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন আজিজুর রহমান।

হিরো আলমের উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৮ ফুট। ওজন ২৭ মণ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, লকডাউনের কারণে কোরবানির পশু বিক্রি ও ন্যায্য মূল্য নিয়ে খামারিরা চিন্তিত রয়েছেন। আমরা অনলাইনে পশু বিক্রির জন্য অ্যাপস তৈরি করেছি।

ওই অ্যাপস-এর মাধ্যমে যে কেউ কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারবেন। তিনি জানান, হিরো আলম নামের গরুটির মালিক যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সে ব্যাপারে আমরাও সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।