শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার দাবি নূরের

শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সবার আগে করোনা প্রতিরোধ টিকা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর।

রোববার (১ আগস্ট) দুপুরে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক নাগরিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান। করোনা মোকাবিলা, শ্রমিকদের হয়রানি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এ নাগরিক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

নূর বলেন, গতকাল তীব্র ভোগান্তিতে শ্রমিকরা ঢাকায় এসেছে। এ ঘটনায় আমরা যখন সমালোচনা করেছি তখন ৩১ জুলাই সন্ধ্যায় সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে গণপরিবহন রোববার ১২টা পর্যন্ত চলবে।

এটা স্পষ্ট যে সরকারের কাজের সমন্বয়হীনতা। এ সমন্বয়হীনতা শুধু এখন না, গত বছরের শুরু থেকে লকডাউন দেয়া, গার্মেন্টস খোলা, শ্রমিকদের ঢাকা আনা-নেওয়া নিয়ে অন্তত ৫বার এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কোনো শ্রমিক যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তাহলে সেই শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কেউ আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার ব্যয় মালিককে নিতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শ্রমিকদের আগে টিকা দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। পৃথিবীর ৭-৮টি দেশ বাদে এতোদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকেনি। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর এ দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যা করে দেশকে পঙ্গু করার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই একইভাবে দেশকে শিক্ষা শূন্য করার চেষ্টা চলছে।

এই সরকারের মাধ্যমে একটি বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে যে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার। গার্মেন্টস খোলা রাখা যাবে, ফেরিতে শত শত মানুষ আসতে পারে, রাস্তায় থাকতে পারে কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারবে না। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানাই।

অক্সিজেনের অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাফরুল্লাহ স্যার কয়েকমাস আগে থেকেই বলেছে অক্সিজেন উৎপাদনের কথা। কিন্তু সরকার আমলে নিচ্ছে না। এটা একটা ননসেন্স সরকার, সরকারের না আছে নিজেদের সেন্স, না নিচ্ছে মানুষের কাছ থেকে সেন্স।

তারা কারো কথা শুনছে না, আবার নিজেরাও পারছে না। আমরা বলবো যে আপনারা যদি না পারেন তাহলে মানুষকে মৃত্যুপুরীর দিকে ঠেলে দেবেন না। পদত্যাগ করে যারা রাষ্ট্র চালাতে পারবে তাদের কাছে ক্ষমতা দেন।