টাকা আনা দূরের কথা জুতা পায়ে দেয়ারও সুযোগ পাইনি

আফগানিস্তানের পলাতক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দাবি করেছেন, তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পরই তিনি দেশত্যাগ করেছেন।

বুধবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অজ্ঞাত স্থান থেকে এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে এ দাবি করেছেন।

গনি বলেন, তিনি দেশত্যাগ করার পর তালেবান সদস্যরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢুকে তার সন্ধানে ‘প্রতিটি কক্ষে’ তল্লাশি চালিয়েছে।

এর আগে তালেবান বলেছিল, আমি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আফগান সংকটের কোনো শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে না। গত ১৫ আগস্ট রোববার তালেবান যখন কাবুলের প্রবেশ পথগুলোতে পৌঁছে যায় তখন আশরাফ গনি নগরীর বিমানবন্দর ব্যবহার করে দেশ থেকে পালিয়ে যান।

অনেক জল্পনা শেষে বুধবারই সংযুক্ত আরব আমিরাত জানায়, মানবিক কারণে গনি ও তার পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ভিডিও বার্তায় আশরাফ গনি তার আগের দাবির পুনরাবৃত্তি করে বলেন, রক্তপাত ও বিপর্যয় এড়াতে তিনি আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন।

তা না হলে তার ভাষায় আফগানিস্তানের পরিণতি হতো সিরিয়া ও ইয়েমেনের মতো। দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় চার গাড়ি ও একটি হেলিকপ্টার বোঝাই করে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে গেছেন বলে গণমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে তা অস্বীকার করেন সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট।

তিনি দাবি করেন, পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি ব্যক্তিগত জিনিসপত্রই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেননি এমনকি নিজের স্লিপারটি পরিবর্তন করে জুতা পায়ে দেয়ারও সুযোগ পাননি! পার্সটুডে