কাবুল বিমানবন্দরে আইএসের হামলার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের

ক্রমেই জটিল হচ্ছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি। দেশটিতে তালেবান ক্ষমতাগ্রহণের পরই আফগানদের মধ্যে দেশত্যাগের হিড়িক পড়েছে। চলছে কূটনীতিকসহ বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজও।

এই পরিস্থিতিতে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট এর হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

রোববার (২২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কাবুল বিমানবন্দরে সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে একটি নিরাপত্তা সতর্কতাও জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটি বলছে, আইএসের আফগানিস্তান শাখা এই হামলা চালাতে পারে। আর তাই আফগান ভূখণ্ডে অবস্থান করা মার্কিন নাগরিকদেরকে আপাতত কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এড়িয়ে চলার পরামর্শও দিয়েছে দেশটি।

শনিবার জারি করা ওই নিরাপত্তা সতর্কতায় বলা হয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের গেটের বাইরে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে মার্কিন নাগরিকদের দূরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

এতে আরও বলা হয়েছে, কেবল যেসব ব্যক্তিকে মার্কিন সরকারের প্রতিনিধি ভ্রমণের জন্য অনুমোদন দেবেন, তারাই (কাবুল বিমানবন্দরে) যেতে পারবেন।

মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, আফগান পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে এবং মার্কিন নাগরিকসহ আটকে পড়াদের সরিয়ে নিতে বিকল্প রুট খোঁজা হচ্ছে।

বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কাবুল বিমানবন্দরে আইএসের সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করলেও এর বেশি আর কোনো তথ্য সামনে আনেনি। এছাড়া আন্তর্জাতিক এই জঙ্গিগোষ্ঠীটি আফগানিস্তানের প্রধান এই বিমানবন্দরে হামলার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো ঘোষণাও দেয়নি।

এদিকে সরকারি কর্মীদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও তাদের অফিসে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তালেবানের বিরুদ্ধে। শনিবার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে কাবুলে সরকারি কর্মীদেরকে অফিসে ঢুকতে বাধা দিয়েছে তালেবান।

ছয় দিন আগে তালেবান ক্ষমতা দখল করার পর থেকে সরকারি ভবন, ব্যাংক, স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেকাংশে বন্ধ রয়েছে। রোববারের পর টেলিকম কোম্পানিসহ মাত্র কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। অবশ্য এর মধ্যে দুই দিন সরকারি ছুটি ছিল।

হামদুল্লাহ নামে একজন বলেন, সকালে অফিসে গেলেও গেটে থাকা তালেবানরা বলেছে, সরকারি অফিস পুনরায় খোলার কোনো নির্দেশ তারা পায়নি। কাজ পুনরায় শুরু করার নির্দেশ আসার আগে তারা আমাদেরকে টিভি দেখতে বা রেডিও শোনার পরামর্শ দেয়।

কাবুলের কেন্দ্রস্থলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ ছিল জানিয়ে একজন কর্মচারী এএফপিকে বলেন, তারা কাউকে অফিসে ঢুকতে দিচ্ছে না। তাদের একজন আমাকে নতুন মন্ত্রী এবং পরিচালক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলেন।