সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সবাইকে এখতিয়ারের মধ্যে থেকে আচরণ করতে হবে।

রোববার তিনি বলেন, সবাইকে এখতিয়ারের মধ্যে থেকে আচরণ করতে হবে। সংবিধানে তাদের যে কাজের গণ্ডি দেওয়া আছে, সে অনুযায়ী দায়িত্বের মধ্যে থেকেই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সরকার বরিশালে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

অন্যদিকে, ঘটনাটিকে ভুল বোঝাবুঝি বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আজ সচিবালয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি এখন বেশি মাত্রায় নেই, এটি সমাধানের দিকে চলে যাচ্ছে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বুধবার রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বরিশালে পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ ওঠে, ওই রাতে সদর উপজেলা ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা চালান স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, শ্রমিক ইউনিয়ন, আওয়ামী লীগ নেতা ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলা দায়ের করেন সদর থানার ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান।

অন্যটি করেন কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরির্দশক (এসআই) শাহজালাল মল্লিক। দুই মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে।

সাদিক আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি সভা শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবির কথা জানায় অ্যাসোসিয়েশন।

বৃহস্পতিবার বরিশালে সেরনিয়াবাত ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু এ অভিযোগ করেন, ব্যানার অপসারণ করতে গিয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইউএনওর বাধার মুখে পড়েন।

ইউএনও দম্ভোক্তিসহ অশোভন আচরণ ও সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে যান মেয়র। তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন ইউএনও।

এদিকে, রোববার ইউএনও মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলার আবেদন করা হয়েছে।

বরিশালের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহর আদালতে মামলা দুটির আবেদন করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলার আবেদন করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন।

অপর মামলার আবেদন করেন বিসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার। দুই মামলাতেই ইউএনও মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

মামলা দুটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহর আদালত এই নির্দেশ দেন। সূত্র: ঢাকাপোস্ট