ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়াসহ তিনজন রিমান্ডে

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিনসহ তিনজনকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

রিমান্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলেন সোনিয়া মেহজাবিনের স্বামী মাসুকুর রহমান ও ই-অরেঞ্জের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আমানউল্লাহ চৌধুরী।

জানা যায়, সোমবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশ ১০দিন রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এই রিমেন্ডের আদেশ দেন।

এরআগে ১৭ আগস্ট তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষ প্রতারণামূলকভাবে এক লাখ গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ এনে রাজধানীর গুলশান থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় সোনিয়া, মাসুকুর, আমানউল্লাহ ছাড়াও মালিক বীথি আকতার, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদসহ প্রতিষ্ঠানটির সব মালিককে আসামি করা হয়।

মামলা দায়েরের দিনই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান সোনিয়া ও মাসুকুর। কিন্তু আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে গুলশান থানা-পুলিশ আমানউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। মামলায় পলাতক রয়েছেন বীথি আকতার ও কাওসার আহমেদ।

ই-অরেঞ্জের দুটি ব্যাংক হিসাব খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। গত ২০ জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, দুটি ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ১২ লাখ ১৪ হাজার ৩৫৬ টাকা ছিল। গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়, যা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই-অরেঞ্জ কোম্পানির ডেলিভারি দেয়ার কথা ছিল।

ভূক্তভোগীরা ই-অরেঞ্জের অফিসে গিয়ে ডেলিভারি দেয়ার কথা বললে অফিসে কর্মরত কর্মকর্তারা ও মালিকপক্ষ জানান কিছুদিনের মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি হবে।

কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় এক হাজার একশ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।