মুক্তিপণ নিতে গিয়ে সিআইডির এএসপিসহ ৩ জন আটক

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ রংপুরের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটককৃতরা হলেন- রংপুর সিআইডির এএসপি মো. সারোয়ার কবির, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।

আর ওই মা-ছেলে হলেন চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই গ্রামের সলেমান শাহ পাড়ার লুৎফর রহমানের স্ত্রী জহরা বেগম ও তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।

পুলিশ, ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পলাশ নামের এক ব্যক্তি রংপুর সিআইডির নিকট চিরিরবন্দর উপজেলার বাসিন্দা লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লুৎফরের বাড়িতে যান এএসপি সারোয়ার কবিরসহ তিনজন। লুৎফর রহমানকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেকে একটি কালো মাইক্রোবাসে উঠিয়ে সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণের জন্য স্বজনদের ফোন দেন।

এসময় তারা ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় থানায় জানায় ভুক্তভোগীর স্বজনরা। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকালে ভুক্তভোগীর স্বজনরা সাড়ে আট লাখ টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান।

তারা প্রথমে রানীরবন্দর আসতে বলেন। সেখানে আসলে তাদেরকে টাকা নিয়ে দশমাইল আসতে বলা হয়। আবার দশমাইল আসলে বাঁশেরহাট আসতে বলে। পরে দিনাজপুর জেলা পুলিশ ও সিআইডি মিলে বাঁশেরহাট থেকে তাদেরকে আটক করে।

আটকের পর প্রথমে চিরিরবন্দর পরে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এএসপি সারোয়ার কবিরসহ তিনজন এখনও দিনাজপুর পুলিশের হেফাজতে আছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে রংপুর সিআইডির এসপি আতাউর রহমান বলেন, ‌তারা আমার অনুমতি না নিয়ে সেখানে অভিযানে গেছেন। একটু আগে তাদের আটকের বিষয়টি শুনেছি। তারা কেন সেখানে গেলেন, কাকে অপহরণ করলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: বার্তা ২৪