মহাযানজটের কবলে বেনাপোল স্থল বন্দর

মহাযানজট এর কবলে স্থল বন্দর বেনাপোল। প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে ৪ লেন এ সড়কে তালশারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চেকপোষ্ট পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছে সহস্রাধিক রফতানি পণ্যবাহি ট্রাক।

এসব ট্রাকে রয়েছে সয়াবিন ভুষি। সম্প্রতি গত ১/০৯/২১ ইং তারিখে কৃষি অধিদপ্তর থেকে এক চিঠিতে সয়াবিন ভুষি রফতানি নিশেধাজ্ঞা জারী করা হয়।

যার ফলে স্থল বন্দর এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয় মারাত্বক আকারে। এরপর গত দুইদিনে কিছু যানজট নিরসন হলেও রাত থেকে আবার তিন কিলোমিটার জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে রফতানি বাহি এসব ট্রাক। এর কারন হচ্ছে ওই অধিদপ্তর থেকে পুনরায় ঘোষনা এসেছে সয়াবিন ভুষি ভারতে রফতানি করা হবে।

কৃষি অধিদপ্তরের পরিচালক আনোয়ার হোসনে স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নতুন করে বলা হয় বানিজ্য মন্ত্রনালয় ও কৃষি মন্ত্রনালয় গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর পুরায় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় সয়াবিন ভুষি পণ্য রফতানি করা যাবে।

এই খবর প্রকাশের সাথে সাথে গত রাত থেকে আবারও বন্দর এলাকায় এ পণ্য নিয়ে ট্রাক ভরে যায়। ফলে প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে যানজট প্রকট আকার ধারন করে।

বেনাপোল চেকপোষ্টের ব্যবসায়ি আশাদুজ্জামান আশা বলেন, এমন ভাবে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে যে, দুর দুরান্ত থেকে আসা পরিবহন চেকপোষ্ট আসতে পারছে না। ফলে সমস্যায় পড়ছে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী। তারা ল্যাগেজ নিয়ে হেটেও আসতে পারছে না।

আবার যারা বর্তমানে কোভিড এর মধ্যে ভারত যাচ্ছে তাদের অনেকে রোগি এরা চিকিৎসা নিতে সে দেশে যাচ্ছে। আবার যারা সে দেশ থেকে আসছে তারাও ল্যাগেজ নিয়ে বেনাপোল বাজার এলাকায় যেতে হিম শিম খাচ্ছে। সব মিলে বেনাপোলকে যানজটের শহর বলা যায়।

বেনাপোল আমদানি রফতানি সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, প্রচন্ড যানজটের কারনে আমদানি কৃত খালাশকৃত পণ্য বন্দর থেকে বের হতে পারছে না। বন্দরের ওয়্যারহাউজের মধ্যে এসব ট্রাক লোড করে দাঁড়িয়ে আছে। সব দিক দিয়ে ব্যবসায়িরা পড়েছে মহাসমস্যায়। এ ব্যপারে পণ্য দ্রæত ছাড় করিয়ে ভারতে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তিনি আহাবান জানান।

ঢাকার রফতানি কারক প্রতিষ্ঠন হাবিব এন্টার প্রাইজের ম্যানেজার মাসুদুর রহমান বলেন বার বার সঠিক সিদ্ধান্ত হীনতায় ব্যবসায়িদের লোকশান গুনতে হবে। অনেক ট্রাক বেনাপোল বন্দরে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় ১০ দিন যাবৎ অপেক্ষা করছে।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় দেশে পোল্ট্রি ও ডেইরি ফার্মের খাদ্য সমস্যার ধোয়া তুলে রফতানি বন্ধ করে দেয়। আবার এক সপ্তাহ যেতে না যেতে রফতানির উপর থেকে নিশেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। যার ফলে ব্যবাসয়িদের ট্রাকের ভাড়া গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন ড্যামারেজ হিসাবে ২ হাজার টাকা।

বেনাপোল বন্দর এর সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, দ্রুত কিভাবে পণ্য ছাড় করা যায় এবং ভারত কি ভাবে পণ্য স্বল্প সময়ের মধ্যে নিতে পারবে তার জন্য ভারতীয় ব্যবসায়িদের সাথে বৈঠক চলছে।