সিএনজি স্টেশন ৩ ঘণ্টা বন্ধ চান মালিকরা

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে সরকার ৬ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে স্টেশন মালিকরা তিন ঘণ্টা বন্ধ রাখতে রাজি হয়েছে। মালিকদের প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে জ্বালানি বিভাগ।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছিল, পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখতে হবে।

এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের বিষয়ে মঙ্গলবার সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনায় বসে পেট্রো বাংলা। সভায় স্টেশন মালিকেরা সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা পাম্প বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেয়।

সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য কয়েক দিন সময় চায় ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বলেন, পেট্রো বাংলা বলেছে, দাম বাড়ায় এলএনজি আমদানি কম হচ্ছে। বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। তাই গ্যাস রেশনিং করতে হবে।

গ্যাসের এই সঙ্কট কাটতে ৪৫ দিন সময় লাগতে পারে বলে পেট্রো বাংলা জানিয়েছে। এই অবস্থায় অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দুই মাসের জন্য সন্ধ্যায় তিন ঘণ্টা স্টেশন বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান বলেন, স্টেশন মালিকেরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত শিগগির জানানো হবে। তখন জানা যাবে- কবে থেকে সিএসজি স্টেশন বন্ধ হবে।

সিএনজি স্টেশনগুলো কম গ্যাস ব্যবহার করে তাই এখানে রেশনিং করে কতটুকু লাভ হবে জানতে চাইলে আনিছুর রহমান বলেন, ‘গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়েছে। আবার গ্যাসের সরবরাহ কমেছে।

পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনেক গ্যাস প্রয়োজন হচ্ছে। সিএনজি স্টেশনগুলোও একই সময় গ্যাস বেশি টানে। তাই পিক আওয়ারে এসব স্টেশন বন্ধ থাকলে বিদ্যুতে একটু বেশি গ্যাস দেয়া যাবে। সূত্র: সমকাল