রূপদিয়ায় রাজুর স্ব-উদ্যোগে ৩ হাজার লোক পাচ্ছে নিয়মিত খাদ্য সহায়তা

যশোর সদর উপজেলার ১৪ নং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নবাসির মনে জায়গা করে নিয়েছে নিঃস্বার্থে পর উপকারি, মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত রাজু আহম্মেদ। নিভৃতে সুনাম ছড়িয়েছে অসহায়ের পরম বন্ধু হিসাবে পরিচিত নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ।

নিজ কর্মগুণে ইতোমধ্যে তিনি অত্র ইউনিয়নের অবহেলিত খেটে খাওয়া জনসাধারণের কাছে মানবিক মানুষ হিসেবে সু-পরিচিত পেয়েছেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ তার উপার্যিত সিংহভাগ অংশ’ই ব্যায় করেন অত্র ইউনিয়নের গরিব দুঃখী ও অসহায় মানুষের মাঝে।

জাতী ধর্ম নির্বিশেষে যে কোনো মানুষের বিপদে-আপদে উপযাচক হয়ে সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে ছুটে চলেন সাধারণ মানুষের দ্বারে-দ্বারে। অত্যান্ত সদালাপী, সুদর্শন ও জনপ্রিয় এই মানবতার ফেরিওলা রাজু আহম্মেদ পারিবারিক অনুপ্রেরণায় মানব কল্যাণের কাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এই বিখ্যাত উক্তিটি যেন মিলে যায় রূপদিয়া তথা নরেন্দ্রপুর, রামনগর, কচুয়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সকলের প্রিয় মুখ রাজু আহম্মেদ বা রাজু ভাইয়ের সাথে। একজন সমাজসেবক ও সৎ, ন্যায়-নীতিবান, উদার মনের সমাজ সংস্কারক;

তিনি যশোর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রূপদিয়া সর্বপরিচিত ব্যক্তি। অত্রাঞ্চলের সুশীল সমাজ, তরুণ-নবীন, যুবক ও প্রবীণ সমাজের কাছে রয়েছে যথেষ্ট সুনাম।

ইতোপূর্ব থেকে চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সমস্যা নিজ অর্থায়নে মোকাবিলায় স্থানীয় ৩ হাজার হতদরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে প্রতি দু’মাস অন্তর ৫ কেজি করে চাউল, ২ কেজি আলু, আধাকেজি পেয়াজ, ১ বুটডাল সহ খাদ্য সহায়তা প্রদান করে চলেছে মানবতার ফেরিওয়ালা রাজু আহম্মেদ।

এছাড়া নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চলাচল অনুপযোগী রাস্তা সংস্কারে ব্যায় করেছে ৬ লাখ টাকা। এছাড়া ইউনিয়ন ব্যাপী প্রতিটা পাড়া মহল্লার উঠতি বয়সের তরুণদের নিয়ে স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে খেলাধুলা সামগ্রী প্রদান করেছে। দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক অবক্ষয় রোধ ও সমাজসেবায় তৎপর রয়েছেন তিনি।

অসহায় দারিদ্র্য রোগাক্রান্ত মানুষের পাশে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দাড়িয়েছে যখন যে ভাবে পেরেছে। এমনকি নিজের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার টিও অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করছে ইউনিয়ন বাসী। রাজু আহম্মেদ বলেন- আমি অত্যান্ত গরিব ঘর থেকে আজ এপর্যন্ত উঠে এসেছি।

আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছে। আমি সর্বক্ষণ অতিতের কথা মনে করি। তাই আমার উপার্যিত অর্থের বেশীর ভাগই এ ইউনিয়নের প্রতিটা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করি। আমার চলাচলের গাড়াটিও যে কোনো মানুষের বিপদে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে ছেড়ে দিয়েছি। জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে আমি ধন্য।