বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করেছি বলেই দেশ সমৃদ্ধির পথে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সার্বিকভবে ধারণ করতে পারলে বিশ্ব আসনে বাংলাদেশকে আরও মর্যাদার জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

রোববার ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর নদী ও পরিবেশ ভাবনা এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

মুজিব শতবর্ষ ও বিশ্ব নদী দিবস-২০২১ উপলক্ষে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ শেখ কামাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

নদীগুলোকে রক্ষা করে এর প্রবাহ নিশ্চিত করাই নদী দিবসের অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা যদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে পুরোটাই আমাদের মাঝে নিতে পারি, তাহলে নদীমাতৃক এ বাংলাদেশকে সার্বিকভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

সেটা আমাদের সামনে দৃশ্যমান, জাতির পিতাকে আমরা সার্বিকভাবে ধারণ করেছি বলেই আজকে বাংলাদেশ মর্যাদার জায়গায় গেছে। বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির সূচক বিশ্বে একটি আলোচিত বিষয়, এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করার জন্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করার জন্য। এই জায়গাটায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, দূষিত সমাজ ব্যবস্থার কারণে নদীগুলো দূষিত হয়ে গেছে, দখল হয়ে গেছে। এই যে দুরাবস্থা, এটা এমনি এমনি আসেনি। কিছু মানুষ ভাবত জায়গা ফাঁকা আছে, এটাই আমার পছন্দ,

এটাই আমার দখল করতে হবে। এভাবেই কিন্তু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে ২৮ জানুয়ারি আমরা যখন ঢাকার চারপাশে নদী দখল উচ্ছেদ শুরু করলাম, আমরা কিন্তু দেখিনি কোনটা কার জায়গা।

প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কথা বলেছিলাম, তখন তিনি আমাদের সাহস দিয়েছিলেন। ঢাকার চারপাশ আমরা দখলমুক্ত করেছি। সেগুলোকে রক্ষা করার জন্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, পচাঁত্তরের পর একটি ধারা তৈরি হয়, মানুষ মনে করেছিল অপরাধ করলে বিচার হবে না, নদী দখল করলে বিচার হবে না। অনেকে নদীর পাড়ে গিয়ে ঘর তুলেছে,

অনেকে নদীর পাড়ে কলকারখানা গড়ে তুলেছে। তারা মনে করেছে এটা দখল নয়, এটা আমার প্রাপ্য অধিকার। এই মনে করে কিন্তু অনেকে নদীর পাড় দখল করেছে।