পর্যটন খাতে ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী জানিয়েছেন, দেশে পর্যটন খাতে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

২০১৯ সালে দেশের জাতীয় আয়ে পর্যটন খাতের অবদান ছিল ৯৫০ দশমিক ৭ বিলিয়ন টাকা। যা জিডিপির ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। ভবিষ্যতে এটি ৬ শতাংশে পরিণত হবে।

সোমবার বিশ্ব পর্যটন দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড সভাটির আয়োজন করে।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুকিং শো এবং ঘোড়ার গাড়ির র‌্যালির উদ্বোধন করেন। প্রতিমন্ত্রী জানান, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ইউএনডব্লিউটিও-এর এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তি মূলক সমৃদ্ধিতে পর্যটন’ আসলে বঙ্গবন্ধুর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন দর্শনকেই প্রতিফলিত করছে।

বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে মো. মাহবুব আলী বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধ পর্যটন পণ্য।

সমগ্র দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন আকর্ষণীয় এলাকায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র কক্সবাজারেই তিনটি পর্যটন পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

কাজ সমাপ্তির পর প্রতিবছরে এতে বাড়তি ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

তিনি বলেন, দেশের প্রান্তিক মানুষকে পর্যটন শিল্পে আরও বেশি করে সম্পৃক্ত করতে আমরা গ্রামীণ পর্যটন ও কমিউনিটি বেইজড পর্যটন উন্নয়নে কাজ করছি।

প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মসংস্থানের এই সুযোগ দেশের জাতীয় অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। মাহবুব আলী বলেন, করোনা মহামারির কারণে সারা পৃথিবীর পর্যটন শিল্প একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

একটি দীর্ঘ সময় এই শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখতে হয়েছে। বাংলাদেশও বৈশ্বিক এই পরিস্থিতির বাইরে নয়। দীর্ঘ সময় ব্যবসা করতে না পারায় আমাদের পর্যটন শিল্পের আর্থিক ক্ষতি অনেক।

মহামারিতে পর্যটন শিল্পের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠতে সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন উপখাতের ব্যবসায় জড়িত অংশীজনদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত দেড় হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন।