ঝিনাইদহে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ ও বধ্যভূমি নির্মানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ১৬ এপ্রিল প্রতিরোধ যুদ্ধে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চাপড়ী গ্রামে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলীকে সরকারীভাবে স্বীকৃতি দিলেও বাকী ১০জনের আজও মেলেনি স্বীকৃতি । শহীদ মুিক্তযোদ্ধাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের ঘোরাঘুরি করেও পাননি কোন ফলাফল।

অবশেষে সোমবার সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্যে শহীদ সেকেন্দার আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান বলেন, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ দখল করে পাকিস্থানি পাকহানাদার বাহিনী।

এরপর চাপড়ী গ্রামে প্রবেশ করে বাড়ি ঘর আগুন দিয়ে পোড়াতে শুরু করে। এসময় ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা একই জায়গায় জড়ো হয়ে পাকবাহিনীকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল। পাকবাহিনী বুঝতে পেরে তাদের চারিদিক ঘীরে গুলি করে পাখির মত নির্মমভাবে হত্যা করে।

তাদের মধ্যে ১১ জনই ছিল চাপড়ী গ্রামের। এক জনেরমুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মিললেও বাকী ১০ জনের আজও স্বীকৃতি মেলেনি। শহীদদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির পাশাপাশি নিহতদের স্মরণে বদ্যভূমি স্তম্ভ নির্মানের দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন , মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের স্বজন লতিফা বেগম, নবীরন নেছা, স্বপ্না খাতুন, তারা বানু ও সাকের আহমেদ।