যশোর শিক্ষা বোর্ডের হিসাব সহকারি আব্দুস সালাম সাময়িক বরখাস্ত

jessore education board

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আড়াই কোটি টাকার চেক দুর্নীতির সাথে জড়িত বোর্ডের ৪ জন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ২ জন এই ৬ জনের মধ্যে পলাতক বোর্ডের হিসাব সহকারি আব্দুস সালামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধানী রিপোর্ট ঢাকায় পাঠিয়েছে। রিপোর্টে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তবে রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত ঘটনা জানা যাবে।

সোমবার ১১ অক্টোবর বোর্ড কমিটির মিটিং হয় মিটিংয়ে আব্দুস সালামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মিটিংয়ে চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান,

যশোর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নার্গিস শিরীন, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এনামুল হক হাওলাদার, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল খালেক, খুলনা সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাসহ ৭/৮ জন।

এদের মধ্যে কয়েকজন জুমের মাধ্যমে মিটিংয়ে যোগদান করেন। মিটিংয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব রেজুলেশন আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়। মিটিংয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া আড়াই কোটি টাকা উদ্ধারে চেষ্টা এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

এরপর পলাতক বোর্ডের আব্দুস সালামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে মিটিং সূত্রে জানা যায়। এদিকে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানী রিপোর্ট রোববার ১০ অক্টোবর ঢাকায় পাঠানো হয়। দুদক সূত্রে জানা, প্রাথমিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আড়াই কোটি টাকার চেক দুর্নীতির সাথে বোর্ডের কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

তবে ঢাকা থেকে রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত ঘটনা জানা যাবে বলে সূত্রটি দাবি করে। উল্লেখ্য ২০২০-২১ অর্থ বছরের বিভিন্ন মালামাল ক্রয় বাবদ সরকারের ভ্যাটের ১০ হাজার ৩৬ টাকার ৯টি চেক ইস্যু করা হয়।

পরবর্তিতে দেখা যায় যশোরের ভেনাস প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং ৭টি ও শাহীলাল স্টোর নামে দুটি চেকের মাধ্যমে বোর্ডের ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

বোর্ডের অডিট শাখা ৫ অক্টোবর মঙ্গলবার চেকের মুড়ি বইয়ের সাথে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট মেলানোর সময় এই জালিয়াতি ধরা পড়ে। অথচ মুড়ি বাইয়ের চেকের অংকের সাথে ইস্যুকৃত চেকের অংকের মিল নেই। বিষয়টি নিয়ে দুদকে মামলা হয়। গঠন করা হয় ৫ সদস্যর তদন্ত কমিটি। যার প্রধান কলেজ পরিদর্শন কেএম রব্বানি।