যশোরে ৩ দিনের গণটিকা কর্মসূচি শুরু 

যশোর পৌর এলাকায় আজ (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের গণটিকা কর্মসূচি।

প্রতিদিন ৩টি করে ওয়ার্ডে চলবে এ কার্যক্রম। ১৩, ১৪ এবং ১৬ অক্টোবর- তিন দিনে পৌরসভার মোট ৯টি ওয়ার্ডকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, ক্রমেই টিকা নিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন যশোরের মানুষ।

কিন্তু যশোর শহরে শুধুমাত্র সদর হাসপাতালে একটি মাত্র টিকা দান কেন্দ্র রয়েছে। এতে প্রতিনিয়তই চাপ বাড়ছে। এতে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

তাছাড়া দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে টিকা নিতে আসা মানুষদেরও। সে বিষয়টি বিবেচনা করে যশোর পৌর এলাকায় গণটিকা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জন জানান, এ কর্মসূচির আওতায় পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ১৮ হাজার টিকা দেয়া হবে। ১৩ অক্টোবর ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড, ১৪ অক্টোবর ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১৬ অক্টোবর ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের টিকা দেয়া হবে।

ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডেরি বাসিন্দারা নিরিবিলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরি স্কুলে এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা আলমগীর সিদ্দিকী হলে এসে টিকা দিতে পারবেন।

পরদিন ১৪ অক্টোবর ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মোল্লাপাড়া আমতলা মোড়স্থ টুটুলের নির্মাণাধীন ভবনে, ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সম্মিলনী ইনস্টিটিউট এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিএড কলেজে টিকা দিতে পারবেন।

পরবর্তীতে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের টিকা কেন্দ্রের নাম জানিয়ে দেয়া হবে। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, ইতিমধ্যেই গণটিকার বিষয়টি জানিয়ে স্ব স্ব এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। টিকা প্রদান কর্মসূচি সাধারণ মানুষের জন্য নির্বিঘ্ন করতে শিঘ্রই ইউনিয়ন পর্যায়েও এ ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

যশোর স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্যানুযায়ী জেলায় এপর্যন্ত ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭ জন মানুষ করোনার টিকার জন্য আবেদন করেছেন। তাদের মধ্যে দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ২ লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৫ জন।

তবে গত ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সিনোফার্মা ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার ১ম ও ২য় ডোজ মিলে এযাবৎ টিকা দেয়া হয়েছে মোট ৮ লাখ ৮২ হাজার ১৪৫ ডোজ। এরমধ্যে সিনোফার্মার ১ম ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭০ জন।

আর ২য় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৭ জন। অন্যদিকে অ্যাস্ট্রেজেনেকার ১ম ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৪০ জন। এবং ২য় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৪৪৮ জন।