‘সম্প্রীতির পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করবে সরকার’

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠী দেশের সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে তৎপর রয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে দূর্গাপূজা চলাকালীন বিভিন্ন অজুহাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর আক্রমণ করে দেশের সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করেছে।

এসব জঘন্য কর্মে জড়িত ব্যক্তিদের অনেককেই ইতোমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং দ্রুত এদের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। দেশের সম্প্রীতির পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করবে।

প্রতিমন্ত্রী দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত দেবালয়, মন্দির ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি এবং হতাহতদের পুনর্বাসন বিষয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শারদীয় দূর্গাপূজা এবং তৎপরবর্তী সময় সংগঠিত সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত দেবালয় ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি এবং হতাহতদের পুনর্বাসন করা হবে।

তিনি বলেন, মৌলবাদীদের দ্বারা সংগঠিত পূর্বপরিকল্পিত এই সহিংসতায় হিন্দু ধর্মীয় ব্যক্তিদের মনোবল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মনোবল দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এজন্য সরকারের স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, বিগত শারদীয় দুর্গাপূজার সময় সংগঠিত সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির,

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি এবং হতাহতদের তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। তৃণমূল পর্যায়ে প্রশাসন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়ে দ্রুত আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করা হবে।

এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার আইনে বিচার করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময়/আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এক ও অভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।