ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে চীনকে বার্তা ভারতের

সীমান্তে চীনের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাবে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে ভারত। অগ্নি-৫ নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে চীনের প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ দেশটি কড়া বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) ক্যাটাগরির ক্ষেপণাস্ত্র এই অগ্নি-৫। স্থানীয় সময় বুধবার রাত প্রায় ৮টার দিকে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ওড়িশা উপকূলের এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়।

অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রটি তিন পর্যায়ের কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করে। লক্ষ্যবস্তুকে এটি প্রায় নির্ভুলভাবে আঘাত করতে পারে। ভারতের পরমাণু অস্ত্র বা ক্ষেপণাস্ত্র নীতি অনুযায়ী অগ্নি-৫-এর সফল পরীক্ষা চালানো হয়। প্রতিপক্ষ প্রথমে আঘাত না করলে এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার হয় না।

এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও ভারতের সাবমেরিন-ভিত্তিক পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। তবে ওই ক্ষেপণাস্ত্র এখন পর্যন্ত অগ্নি-৫-এর মতো এত দূরপাল্লায় পরীক্ষা করা হয়নি। ২০১২ সালে প্রথম অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়।

ভারতের প্রতিরক্ষা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) অগ্নি-১ থেকে অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র নকশা ও উন্নত করার দায়িত্ব পালন করছে। এ মুহূর্তে ভারতের হাতে পাঁচটি ভিন্ন ক্ষমতার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

এগুলো হলো ৭০০ কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি-১, দুই হাজার কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি-২ ও অগ্নি-৩, আড়াই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি পাল্লার অগ্নি-৪। চলতি বছরের জুনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম অগ্নি প্রাইম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করে ভারত।

এটি অগ্নি ঘরানার ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে আরও উন্নত সংস্করণের ক্ষেপণাস্ত্র। ওই ক্ষেপণাস্ত্রও ওড়িশা উপকূল থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।