নৌকা বিজয় করার জন্য বেনাপোলে মেয়র লিটনের সংবাদ সম্মেলন

আসন্ন ইউপি নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর উপলক্ষে শার্শার ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার জন্য যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল লিটন সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় তিনি বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মেয়র লিটন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বিভিন্ন লড়াই সংগ্রাম করে বিভিন্ন সংকট দুর্যোগ মোকাবেলা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত শার্শায় ১০ টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এই নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে যারা আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার জন্য মনোনায়ন পত্র জমা দিয়েছেন তারা অতি তাড়া তাড়ি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করুন।

নতুবা আগামী ১১ নভেম্বর এর পর তাদের পদ পদবী থাকবে না। আমি জানি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শার্শা উপজেলার কোন ইউনিয়নের সভাপতি কোন ইউনিয়নের সেক্রেটারী হিসাবে পদে থেকে তারা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার জন্য মনোনায়ন পত্র জমা দিয়েছে।

আর এর ইন্ধন যোগাচ্ছে কোন এক অদৃশ্য শক্তি। তবে এরা বিএনপি জামাত থেকে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোদ দিয়ে সন্মানিত হয়েছিল। তারাই আবার নৌকা না পেয়ে জননেত্রীর দেয়া নৌকাকে এবং দলকে অসান্মানিত করার জন্য মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে।

আমি সকলকে বলব এবং উদাত্য আহবান জানাব তারা তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে ১০ টি ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে। মেয়র লিটন বলেন, আজ জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষে এদেশের জনগনকে জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মুক্তির পথে।

তিনি অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন শিক্ষা স্বাস্থ্য সহ সকল পর্যায়ে মুক্তি দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তখন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে থাকা কিছু অসাধু চক্র ঘাপটি মেরে থাকা লোক ইন্ধন যুগিয়ে নৌকাকে পরাজিত করার জন্য পিছন থেকে ইন্ধন যুগিয়ে চলেছে।

তাই আমি বলতে চাই সকল বিদ্রোহী প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে শুভ বুদ্ধির উদায় হোক। নইলে ১২ তারিখের পর তাদের বাংলাদেশ আওয়ামলিীগ থেকে বহিস্কার করা হবে।

তিনি বলেন আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ বিভাজন চাই না। আমরা চাই সকলে এক হয়ে কাজ করতে। যারা এরকম বিভেদ বিভাজন সৃষ্টি করবে তাদের দল থেকে বহিস্কার করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, বনও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ সরোয়ার,

অর্থ বিষয়ক সম্পাদক খোদাবক্স, বেনাপোল পৌর আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি রহমত আলী, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য মোজাফফার হোসেন প্রমুখ।