বাংলাদেশে কাজ হারাতে পারেন ৫০ লাখ মানুষ: আইএলও

করোনায় চলতি বছর বাংলাদেশে দৈনিক ৭ দশমিক ৪ শতাংশ কর্মঘণ্টা কমতে পারে। একজন পূর্ণকালীন শ্রমিকের কর্মঘণ্টা হিসেবে এ হ্রাস ৫০ লাখ শ্রমিকের সমান।

অর্থাৎ চলতি বছরে ৫০ লাখ মানুষ কর্মক্ষেত্র থেকে ছিটকে পড়তে পারে। করোনা মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও।

‘আইএলও মনিটর :কভিড-১৯ এবং শ্রমবিশ্ব’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে এ শঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এটি এ ধরনের অষ্টম সংস্করণ।

দেশে দেশে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর নিয়মিত বিরতিতে এই প্রতিবেদন করে আসছে আইএলও।বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনার অভিঘাতে ২০২০ সালে বাংলাদেশের শ্রম কর্মঘণ্টা আগের বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।

পূর্ণকালীন কর্মঘণ্টা হিসেবে এ হ্রাসের পরিমাণ ছিল ৮০ লাখ শ্রমিকের কর্মঘণ্টার সমান। বৈশ্বিক শ্রমবাজার সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের শেষ প্রান্তিক থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে।

তবে ২০২১ সালেও বিশ্ব শ্রমবাজার স্থবির রয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে কর্মঘণ্টা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কম। পূর্ণকালীন কর্মঘণ্টার হিসাবে এ হ্রাস প্রায় ১৪ কোটি শ্রমিকের সমান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমবাজারের এই স্থবিরতা উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তুলছে। করোনা পরিস্থিতি থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও এ বৈষম্য প্রকট হচ্ছে। এ কারণে সার্বিক বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধার বিলম্বিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।