ঝিনাইদহে তিনদিনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে এসেছে শীতের আমেজ

ঝিনাইদহে অসময়ে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপ কেটে গেলেও লঘুচাপের প্রভাবে গত তিনদিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এতে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় এসেছে শীতের আমেজ।

এরই ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবনের।তবে অসময়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ,চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও আমন ধান চাষীরা। জেলার ৬ উপজেলার মাঠ জুড়ে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বৃষ্টিতে ভিজে স্বপ্ন যেন ফিকে হয়ে যাবে।

শনিবার ভোর ৬ টা থেকে শুরু হয়ে রোববার ভোর পর্যন্ত চলে একটানা মুসলধারে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝিনাইদহে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি কমলেও দুপুরের পর থেকে আবার শুরু হয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি।যা চলতে থাকে সারা রাত।

আজ সোমবার এর ব্যতিক্রম হয়নি কখনো থামছে আবার কখনো মুসলধারে আবার কখনও একটানা। এছাড়াও চলে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটেখাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো। কাজ না পেয়ে অনেকে বিভিন্ন দোকানে বসে থাকতে দেখা গেছে।

কথা হয় সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের জাফর বিশ্বাসের সাথে তিনি জানান, ভোরে গ্রাম থেকে শহরে আসছি কাজের জন্য কিন্তু এসে দেখছি টানা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে তাই চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছি আর ভাবছি আজ ফাঁকা পকেটে বাড়ি ফিরে যেতে হবে।

এভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলে আমি ভিজে রিক্সা চালাতে পারবো না। সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজে যে টাকা ভাড়া মাড়বো তার থেকে মালিকের কতো দিবো আর আমিই বা কতো নিবো। সারাদিন যা উপার্জন করতে পারবো তা দিয়ে বাজার সদায় করায় কষ্ট হয়ে যাবে।

সেই সাথে বিপাকে পড়েছে চলতি এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। এছাড়াও বই – খাতা হাতে বিদ্যালয়ের উদ্দেশে রাস্তায় বের হওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। টানা বৃষ্টির কারণে শহরের কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।

এর প্রভাবেই সারাদেশের ন্যয় ঝিনাইদহে কখনও গুড়ি গুড়ি আবার কখনও মুসলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কমবে বলে আশা আবহাওয়া অফিসের।আবহাওয়া অফিস আরও জানান,সামনে আরও একটি নিম্নচাপ হতে পারে।

সেখান থেকেই সৃষ্টি হতে পারে ঘুর্ণিঝড়।অসময়ের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি কমার সাথে সাথে সারাদেশের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। সেই সাথে শীত অনুভূত হতে থাকবে। লঘুচাপ এটি সুস্পষ্ট চাপ থেকে নিম্নচাপ ও ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। যা ২০ নভেম্বরের মধ্যে এটি হতে পারে এবং এর পরেই সারাদেশে শীত পড়বে বেশি।