পাকিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

নতুন শুরুর আশায় পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। পাওয়ার প্লে-তে ঝড় তোলা তো দূরের কথা, টানা উইকেট পতনে উল্টো চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যা একটু চেষ্টা করলেন আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান ও মেহেদী হাসান। এই তিনজনের ব্যাটে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে আছেন তিন পেসার- তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।

আর বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে আছেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। বাংলাদেশ দলে অভিষেক হচ্ছে সাইফ হাসানের। অন্যদিকে পাকিস্তান দল মাঠে নেমেছে দলের মূল পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ছাড়াই।

ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১০ রানে মধ্যেই দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও অভিষিক্ত সাইফ হাসান দুজনেই বিদায় নিয়েছেন। হাসান আলীর করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন নাঈম।

মোহাম্মদ ওয়াসিমের করা পরের ওভারের শেষ বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাইফও। দুজনের কেউই ১ রানের বেশি করতে পারেননি।

এরপর তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত বোলার মোহাম্মদ ওয়াসিমের হাতেই ক্যাচ দেন ৭ রানের ইনিংস খেলেই। প্রথম ৩ ব্যাটারের কেউই বাউন্ডারি বা ছক্কাও হাঁকাতে পারেননি।

ফলে পাওয়ার প্লে থেকে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৫ রান তুলেত পারে বাংলাদেশ। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও মাত্র ৬ রান করেই পাকিস্তানি পেসার নওয়াজের বলে বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটেন।

৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখান আফিফ হোসেন। কিন্তু ১০তম ওভারে পাকিস্তানের স্পিনার শাদাবের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। আম্পায়ার আউটও দেন।

কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রিভিও নেন আফিফ এবং তাতে বেঁচে যান তিনি। ওই ওভারে অবশ্য কোনো রান আসেনি। কিন্তু পরের ওভারেই নওয়াজের বলে পর পর দুই ছক্কা হাঁকান তিনি।

কিন্তু শাদাবের পরের ওভারেই ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে খেলতে এসে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়লে শেষ হয় আফিফের ৩৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। আফিফের বিদায়ের পর হাল ধরেন নুরুল।

শাদাবের এক ওভারে এক ছক্কা ও ১ চার মারার পরের ওভারে ওয়াসিমের বলেও এক ছক্কা হাঁকান এই ডানহাতি ব্যাটার। কিন্তু ১৭তম ওভারে হাসান আলীর বলে অফ সাইডের অনেকটা বাইরের বলে মারতে গেলে বল সোহানের ব্যাটের কানায় লেগে রিজওয়ানের গ্লাভসে জমা হয়।

ফলে শেষ হয় সোহানের ২২ বলে ২৮ রানের ইনিংস। এরপর হাসানের পরের ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসান ছক্কা হাঁকানোর পর চতুর্থ বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আমিনুল।

এরপর হারিস রৌফের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে মেহেদী ও শেষ বলে তাসকিন আহমেদ ছক্কা হাঁকালে সম্মনজনক স্কোর পায় বাংলাদেশ। ২০ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদী।

বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মেহেদী হাসান এবং মোস্তাফিজুর রহমান।

পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফখর জামান, হায়দার আলী, শোয়েব মালিক, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, হাসান আলী, হারিস রৌফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।