যশোরে ১০৪তম মহান রুশ বিপ্লব বার্ষিকী উদযাপন

শোষণ বৈষম্যহীন সমাজ বির্নিমাণের আহব্বান জানিয়ে ১০৪তম মহান রুশ বিপ্লব বার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন যশোর শহর পাঠচক্র ফোরাম।

১৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪টায় শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্ত্বর থেকে লাল পতাকা মিছিলের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানের কর্মসূচি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এরপর বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন যশোর শহর পাঠচক্র ফোরামের সমন্বয়ক এ্যাড.চন্ডীচরণ মজুমদারের সভাপত্বিতে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পুজিবাদের যাঁতাকলে পৃষ্ঠ জনজীবন। একদিকে করোনার মহামারির মধ্যও মুষ্ঠিমেয় মানুষ সম্পাদের পাহাড় গড়ছে, অন্যদিকে জীবন বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছে সমাজের বিপুল সংখ্যক মানুষ। দিন রাত খেটেও জোগাড় হচ্ছে না তিন বেলার আহার, পাচ্ছে না পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা।

১৯৭১সালের পর থেকে যারায় ক্ষমতায় এসেছে তারাই মুনাফা ভিত্তিক পুজিবাদী ব্যবস্থার পাহাদার। সমাজের নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, দুর্ণীতি, মাদক, সাম্প্রদায়িকতা, নির্যাতন ও ধর্ষণ, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির জন্য দায়ী এই মুনাফা ভিত্তিক পুজিবাদী ব্যবস্থা।পাহাদার পরিবর্তন করে আজ সমাজের খেটে খাওয়া গরীব মেহনতি মানুষের কোন উন্নতি সম্ভাব না। পাহাদার নয় ব্যবস্থার পরিবর্তনের অর্থ্যাৎ মুনাফা ভিত্তিক ব্যক্তিমালিকানা সমাজ পরিবর্তন করে সামাজিক মালিকানার।

সমাজতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের মাধ্যমে গরীব মেহনতি মানুষের মুক্তি সম্ভাব। মহান রুশ বিপ্লব আমাদের সামনে সেই শিক্ষা রেখে গেছে। মার্কসবাদ লেনিনবাদের ভিত্তিতে রুশ বিপ্লব থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের সংগ্রামকে বেগবান করবেন।

উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন , বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য কমরেড মনজুর আলম মিঠু, যশোর জেলা পাঠচক্র ফোরামের সমন্বয়ক কমরেড কিশোর অধিকারী,

শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড রিপন গাজী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বিশ্বাস প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন শহর পাঠচক্র ফোরামের সদস্য পলাশ পাল।