হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করছে ব্রিটেন

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে ব্রিটেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কেউ হামাসের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করলে, তাদের পতাকা উড়ালে বা সংগঠনের জন্য বৈঠকের আয়োজন করলে তা আইনের লঙ্ঘন হবে বলে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

গার্ডিয়ানের ওই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দ্য টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল ওয়াশিংটনে এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেবেন এবং আগামী সপ্তাহে সংসদে তা উপস্থাপন করবেন।

এখন পর্যন্ত, হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডকে নিষিদ্ধ করেছে ব্রিটেন। এই পদক্ষেপের ফলে গাজার শাসকদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাতারে চলে আসবে ব্রিটেন।

ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়ে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট নাফতালি বেনেট টুইটারে জানিয়েছেন, সোজা কথায়, হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ‘রাজনৈতিক হাত’ তার সামরিক কার্যকলাপকে সক্ষম করে।

একই সন্ত্রাসী – শুধু পোশাকটা আলাদা। এ ব্যাপারে গাজায় হামাসের এক মুখপাত্র জানায়, ব্রিটেনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা মন্তব্য করবেন না। হামাস মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা।

১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি ইসরাইল রাষ্ট্রের বিরোধিতা এবং শান্তি আলোচনার বিরোধিতা করে আসছে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ‘সশস্ত্র প্রতিরোধ’ গড়ে তুলেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠন।