ফাইজারের টিকা কিশোর-কিশোরীদের শতভাগ সুরক্ষার দাবি

ফাইজারের টিকার দুই ডোজ কিশোর-কিশোরীদের করোনা থেকে শতভাগ সুরক্ষা দিতে সক্ষম। চার মাসের বেশি সময় পর্যবেক্ষণের ফলাফলের পর এমন দাবি করেছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি।

এতে স্বস্তি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অভিভাবকরা। এদিকে দেশটির সরকারি দপ্তরের ৯০ ভাগ কর্মী টিকার আওতায় এসেছেন। কোভিড টিকা আবিষ্কারের পর থেকেই চলছে আলোচনা ও গবেষণা।

ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কিশোর-কিশোরীদের শরীরে তুলনামূলক বেশি সময় করোনা থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সিদের ওপর পরিচালিত শেষ পর্যায়ের এক গবেষণায় এমন ফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।

চলতি বছরের মে মাসে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সিদের জন্য ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন-এফ.ডি.এ.।

এরপর গেল আগস্টে ১৬ বছরের বেশি বয়সিদের শরীরে ব্যবহারের পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পায় এটি। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশে শিশুরা পাচ্ছে এই টিকা।

সাম্প্রতিক গবেষণার তথ্যে স্বস্তি বেড়েছে অভিভাবক মহলে। সোমবার ফাইজার কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের দুই ডোজ টিকা নেয়া কিশোর-কিশোরীদের টানা চার মাসের বেশি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে,

সেটি করোনা প্রতিরোধে শতভাগ কার্যকর ছিল। এর আগে, গত অক্টোবরে ফাইজার জানায়, পাঁচ থেকে এগারো বছর বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর।

গেল ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২ হাজার ২৫০ শিশুর ওপর চালানো পরীক্ষায় দেখা যায়, দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার এক সপ্তাহ পর তাদের শরীরে ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ করোনাপ্রতিরোধী অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব মিলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৯০ শতাংশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এখন পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। তবে এই সংখ্যা ৯৫ শতাংশের বেশি হলে আরও ভালো হতো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।