নির্বাচনে হেরে মসজিদ ভেঙে নিয়ে গেলেন ইউপি চেয়ারম্যান

তিন বছর আগে নির্মাণ করে দেয়া মসজিদ ভেঙে নিয়ে গেছেন টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইউনিউয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত বহুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া সেলিম।

এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। ৭ ডিসেম্বর গোলাম কিবরিয়া সেলিম টিনের তৈরি মসজিদটি ভেঙে ট্রাকে করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

গোলাম কিবরিয়া সেলিম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিনের ছেলে। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মসজিদ ভেঙে নেওয়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৬ সালে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে গোলাম কিবরিয়া সেলিম নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের দিকে ওই ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে টিন দিয়ে একটি মসজিদ তৈরি করেন চেয়ারম্যান।

গত ১১ নভেম্বর নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলম মুক্তার কাছে হেরে যান। হেরে যাওয়ার পর ক্ষোভে ৭ ডিসেম্বর মসজিদটি ভেঙে নিয়ে যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়।

স্থানীয় সবুর মিয়া জানান, এ ঘটনায় ইউনিয়নবাসীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি কাজটি ভালো করেননি। ওই স্থানে গ্রামবাসী মিলে একটি পাকা মসজিদ স্থাপন করবেন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরে আলম জানান, বিজয়ী হওয়ার পর আমি এখনো শপথ নেইনি।

ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের ওয়াকফ করা জমিতে যেহেতু এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল অতএব ওই মসজিদ ভেঙে নেওয়ার অধিকার ওই চেয়ারম্যানের নেই। তিনি গ্রামবাসিদের সহযোগীতায় ওই স্থানে একটি পাকা মসজিদ নির্মাণ করবেন।

পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া সেলিম জানান, তিনি খালাতো ভাই ইব্রাহিম হোসেনের ব্যক্তিগত টাকায় ওই নামাজ খানাটি টিন দিয়ে তৈরি করা করেছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে ওই স্থানে কেউ নামাজ আদায় করছেন না। খালাত ভাইয়ের অনুমতি নিয়েই ওই নামাজখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

উপজেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, নামাজ খানা হলেও তিনি তা ভেঙে নিয়ে যেতে পারেন না। কাজটি তিনি ভালো করেননি। এ ধরনের কাজ ইসলাম সমর্থন করেন না। সূত্র: বাংলানিউজ